সংক্ষিপ্ত

সীমান্ত ড্রোন হামলা নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। নাশকতার ছাক বানচাল করতে তৎপর ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা। 

জম্মু ও  কাশ্মীর সীমান্তে কড়া নজরদারী চালান হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়াতে বাড়ানো হয়েছে বাহিনীর সংখ্যাও। তাই অন্য পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান। উপত্যকায় জঙ্গ দলগলির মধ্যে  সরবরাহ লাইন চালু রাখতে ড্রোনের ব্যবহার কররছে পাকিস্তান। এরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং। ১৯৮৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সিং জানিয়েছেন পুলিশ ও অন্যান্য সুরক্ষা সংস্থাগুলি বর্তমানে যথেষ্ট তৎপর। আর সেই কারণেই লস্কর-ই-তৈবা বা জাইশ-ই-মহম্মদের মত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির হাতে গোলা বারুদের সংখ্যা কমে আসছে। রীতিমত অভাব দেখা দিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের। পাশাপাশি মডিউলগুলির অনেক সদস্যই গ্রেফতার হয়েছে। তাই কিছুটা আগ্রাসী ভূমিক গ্রহণ করেই পাকিস্তান ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিমি। 

'ভালোবাসার শাস্তি', কিশোরের যৌনাঙ্গ কেটে পিটিয়ে হত্যা করল প্রেমিকার আত্মীয়রা
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দিলবাগ সিং জানিয়েছেন তাঁরা লক্ষ্য করেছেন গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পাকিস্তানের কয়েক জন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির দাবি মেটাতে অস্ত্র, গোলাবারুদ এমনকি নগদ টাকা পর্যন্ত ড্রোনের মাধ্যমে ফেলে গেছে। পুলিশ ২৩ জুলাই জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তর কাছাকাছি পাকিস্তান থেকে আসা একটি হেক্সা হেলিকপ্টারও গুলি করেত নামাতে সক্ষম হয়েছে। সেই আকাশযানটি পাঁচ কেজি ওজনের আইইডি বিস্ফোরক বহন করছিল। পুলিশ সূত্রে খবর ছিল উপত্যকার একটি জনবহুল স্থানে বিস্ফোরণ ঘটনোর পরিকল্পনা ছিল জইশ ই মহম্মদ জঙ্গদের। তা বানচাল করে দিয়েছে পুলিশ।

দেশকে গর্বিত করছেন ক্রীড়াবিদরা, 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানেও অলিম্পিক্স প্রসঙ্গ তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

পুলিশ প্রধান আরও জানিয়েছেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সত্ত্বেও  দেখা গেছে গুলি চালান হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে ভারতে নাশকতা চালনোর মদত দেওয়া। তিনি আরও বলেন পাকিস্তান যে ড্রোনগুলি ব্যবহার করছে সেগুলি সম্ভবত চিন থেকে কেনা হয়েছিল। তার অংশ চিন আর তাইওয়ানের বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

স্বামী রাজ কুন্দ্রার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শিল্পাকে, ৬ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন বলি অভিনেত্রী

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধানের কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্রোনগুলি ভারতের নিরাপত্তার কাছে একটি হুমকি। তাই এই দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন বিমান বাহিনীর বেশে  হামলার জন্য যে বোমাগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলির পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স কারখানায় তৈরি করা হয়েছে। কারণ পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স কারখানার স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এই হুমকি মোকাবিলায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।