উত্তর কন্যায় বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে স্কুল খুলবে ১৬ই নভেম্বর। ১৫ই নভেম্বর বীরসা মুন্ডার জন্মদিন।
নয়া ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee)। উত্তর কন্যায় (Uttar Kannya) বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে স্কুল খুলবে (Schools to open) ১৬ই নভেম্বর (16th November)। ১৫ই নভেম্বর বীরসা মুন্ডার জন্মদিন। তাই ওই দিন রাজ্য জুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ওইদিন স্কুল কলেজ অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে করোনার পরিস্থিতি (Corona Situation) ঠিক থাকলে স্কুল খোলা (School Reopen) হবে।
সেই মতো স্কুল খোলার চূড়ান্ত ঘোষণা এদিন করেন মমতা। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কবে থেকে স্কুল কলেজ খুলবে তা জানিয়ে দেন মমতা। তিনি আগে ঘোষণা করেন ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল ও কলেজ খোলা হবে। আর তার আগে স্কুলগুলিকে পরিষ্কার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি।
স্কুল খোলা নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে (Hari Krishna Dwivedi) নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, "৪ তারিখ কালীপুজো (Kalipuja)। ৬ তারিখ ফাইফোঁটা। ১০ আর ১১ তারিখ ছট পুজো। ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। ফলে তোমাকে যা করতে হবে ১৫ তারিখ থেকে করতে হবে। স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারেও ১৫ তারিখ থেকে করে দাও। তার আগে স্কুলগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে।"
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, বাংলায় বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, রইল তালিকা
পাঁচদিনের সফরে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মমতা। সোমবার তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন। উত্তরকন্যায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে স্কুল ও কলেজগুলির স্যানিটাইজ করার কাজ শেষ করতে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
মমতা এদিন বলেন, "স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কিছুটা সময় দিতে হবে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেখানে পরিকাঠামোগত কাজ সেরে ফেলতে পারেন। তার পরেই স্কুল শুরু হবে।"
ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার প্রথম ঢেউ। সেই বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। এমনকী, চলতি বছরের বোর্ডের পরীক্ষাগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ক্লাস চলছে অনলাইনে। তবে অনলাইনে ক্লাস হলেও বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে পড়ুয়ারা। আর সেই কারণেই স্কুল খোলার দাবি জানানো হচ্ছিল।