Sitai- গরুপাচারের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে, সিতাই কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মৃতের স্ত্রীর

মৃত তিন ব্যক্তির মধ্যেই রয়েছেন সিতাইয়ের শামটার বাসিন্দা প্রকাশ বর্মন। তাঁর পরিবারের দাবি কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে প্রকাশকে। গরু পাচার তো দূর কোনোদিন কোনও অসৎ কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিল না সে।

Jaydeep Das | Published : Nov 12, 2021 9:29 AM IST / Updated: Nov 12 2021, 03:21 PM IST

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব (Union Home Secretary)। এদিকে তাঁর সীমান্ত-বৈঠকের দিনই কোচবিহারের (coochbihar) সিতাইয়ে(sitai) ছড়িয়েছে উত্তেজনা। শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাই ব্লকের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় তিন গ্রামবাসীর। নিহতদের মধ্যে দু’ জন বাংলাদেশি(bangladeshi) ও একজন ভারতীয় বলে পুলিশের(police) দাবি। এমনকী প্রত্যেকেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও অভিযোগ। যদিও নিহতের পরিবারের দাবি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা।

মৃত তিন ব্যক্তির মধ্যেই রয়েছেন সিতাইয়ের শামটার বাসিন্দা প্রকাশ বর্মন। তাঁর পরিবারের দাবি কেউ বা কারা ফাঁসিয়ে দিয়েছে প্রকাশকে। এমনকী গরু পাচার তো দূর কোনোদিন কোনও অসৎ কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিল না সে। সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে জোরালো দাবি করতে দেখা যায় প্রকাশের মা অনিতা বর্মন। এমনকী আসল রহস্য কী তা জানতে যথাযথ পুলিশি তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিতাই থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন - কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সফরের দিনেই অঘটন, সীমান্তে BSF-র গুলিতে মৃত্যু ৩ গ্রামবাসীর

এদিকে বিএসএফ সূত্রে অভিযোগ, নিহত ব্যক্তিরা গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। এমনকী তাদের প্রত্যেকেই অস্ত্র হাতেই পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্ত পারে এসেছিল বলেও অভিযোগ। গরু পাচার করার সময় বিএসএফের ৭৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্তব্যরত জাওয়ানরা তাদের বাধা দেয়, কিন্তু সেই সময় কাঁটাতারের বেড়ার ওপার থেকে পাচারকারীরা ঢিলছোড়া শুরু করে। বিএসএফের জওয়ানরা বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়া শুরু হয় বলেও অভিযোগ। আর তখনই পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিএসএফ-র কর্তব্যরত জওয়ানেরা। তাতেই মৃত্যু হয় দু’ জন বাংলাদেশি সহ এক ভারতীয়র।

 আরও পড়ুন - বাড়ছে আতঙ্ক, বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে ফের আউশগ্রামে হানা দিল দাঁতালের দল

এদিকে মৃত প্রকাশের বাড়িতে মা ছাড়াও রয়েছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। বর্তমানে তাঁর মৃত্যুর পর সংসারের উপার্জন কোন পথে হবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না এই শ্রমজীবী পরিবারের সদস্যরা। এমনকী স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনা মাত্র কান্না ভেঙে পড়েন প্রকাশের স্ত্রী মমতা বর্মন। এমনকী তাঁর এও অভিযোগ, রাতে বাড়িতেই ছিল প্রকাশ। কিন্তু আচমকাই মধ্যরাতে তাকে কেউ একটা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বলে কাজ আছে। তার ডাকেই বাড়ি থেকে বের হয় প্রকাশ। কিন্তু কোন কাজের জন্য সে বেরিয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কিছুই জানা নেই। আচমকা সকালে খবর আসে বিএসএফএফ-র গুলিতে বর্ডারের কাছে মারা গিয়েছে প্রকাশ। মুহূর্তে খবর চাউর হয় গোটা এলাকায়। শোকের ছায়া নেমে আসে প্রকাশের পাড়াতেও। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যে আগমণের দিনই এই অপ্রীতিকর ঘটনায় স্বভাবতই চাপ বাড়ছে প্রশাসনিক মহলে।

Share this article
click me!