পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট থেকেই আঁকতে ভালোবাসে স্নিগ্ধা। হাতের কাছে যা পেত তাতেই ছবি আঁকত। তবে গতে বাঁধা নয়। অন্যরকম আঁকার নেশা ছিল বরাবরই। আর সেই সৃষ্টির নেশা থেকেই আর্ট পেপার বা অন্য কিছুতে নয় নিজের হাতেই ছবি আঁকতে শুরু করে সে।
এক ঝলকে দেখে ঠাহর করা যাবে না। বোঝা যাবে না যে এটা কোনও মানুষের হাত (Human Hand) হতে পারে। আসলে সেই হাতের মধ্যেই রং (Colour) দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন পশু পাখির (Animal and Bird Face) মুখের ছবি। শিল্পীর সৃষ্টির মাধ্যমেই জীবন্ত হয়ে উঠছে তারা। আর এভাবে এঁকেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের (India Book of Records) স্বীকৃত অর্জন করল বালুরঘাটের (Balurghat) স্নিগ্ধা।
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে শুরু প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো খেতুর উৎসব, এবারও বসছে না মেলা
পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট থেকেই আঁকতে ভালোবাসে স্নিগ্ধা। হাতের কাছে যা পেত তাতেই ছবি আঁকত। তবে গতে বাঁধা নয়। অন্যরকম আঁকার নেশা ছিল বরাবরই। আর সেই সৃষ্টির নেশা থেকেই আর্ট পেপার বা অন্য কিছুতে নয় নিজের হাতেই ছবি আঁকতে শুরু করে সে। হাতের মধ্যেই রঁঙের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলত বিভিন্ন পশুপাখির মুখের ছবি। আর এবার তা এঁকেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল বালুরঘাট শহরের রথতলা এলাকার বাসিন্দা তথা বি ফার্ম নিয়ে পড়াশোনা করা স্নিগ্ধা সমাজদার।
আরও পড়ুন- 'সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লাম', এইমস থেকে ছুটি পেয়ে টুইটারে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ রাজ্যপালের
ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে শংসাপত্র, মেডেল সহ অন্যান্য উপহার এসে পৌঁছেছে স্নিগ্ধার কাছে। আগামী দিনে আরও নতুনত্ব কিছু সৃষ্টির আশা রয়েছে তার। মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগে বদলি করা হোক কোচবিহারের জেলাশাসক ও এসপিকে, কমিশনে আবেদন বিজেপির
প্রত্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের রথতলা এলাকার শিব শঙ্কর চৌধুরীর মেয়ে স্নিগ্ধা সমাজদার। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালবাসত। স্নিগ্ধা কলকাতার একটি কলেজে বি ফার্ম নিয়ে পড়াশোনা করছে। তবে লকডাউনের জন্য কলেজ বন্ধ থাকায় সে অনেক দিন ধরেই বাড়িতে রয়েছে। বর্তমানে বাড়ি থেকেই অনলাইনে ক্লাস করছে সে। পড়াশোনার পাশাপাশি বাকি সময়টা বসে না থেকে কিছু গঠনমূলক কাজ করতে চেয়েছিল স্নিগ্ধা। আর সেখান থেকেই হাতে রং করে বিভিন্ন পশু পাখির ছবি আঁকতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ফেসবুকে ছবিগুলো দিয়ে সুনাম অর্জন করে সে। তারপরই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের জন্য আবেদন করেছিল। সেখানে সুযোগ পেতেই নিজের প্রতিভা তুলে ধরে।
হাতের উপর বিভিন্ন পশু পাখির মুখ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। এরপর গত মাসের ২১ সেপ্টেম্বর জানতে পারে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম স্থান পেয়েছে। তার এই সাফল্যে পরিবারের সদস্যদের মনে খুশির হওয়া। এবং বালুরঘাটের মতো একটি প্রত্যন্ত শহর থেকে জাতীয় স্তরের রেকর্ড বুকে নাম তুলতে পেরে খুশি স্নিগ্ধা নিজেও। ভবিষ্যতে আরও বিশেষ কিছু কাজ করতে চায় সে।