নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভাতে প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভাতে দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামনে আনলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সভা মঞ্চে দাড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে উচু স্বরে সৌমিত্র খাণ বলেন, যারা কলকাতায় গিয়ে দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ সৌমিত্র খাঁ জিন্দাবাদ বলছেন ,তারাই আবার বিষ্ণুপুরে বলছেন এটা বিজেপি সভা নয়। এইসব কর্মীদের জুতো মেরে পা ভেঙে দেবার হুশিয়ারি দিলেন তিনি।
বিশ্বভারতীর পাঁচিল দেওয়ার কাজের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট
বিজেপি নেতা বলেন, দলের কেউ কেউ প্রস্তুতি সভাতে না আসার কথা বলেছেন। সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের গায়ে হাত তুলছেন। তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগুন জ্বালিও না, আগুন জ্বালালে অনেক দূর যাবে। দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর দিকে কড়া ভাষায় এমনই বার্তা দিয়ে সতর্ক করলেন বিজেপির যুব সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
শোক প্রকাশ করে মুখ্য়মন্ত্রী জানতে পারলেন মন্ত্রী এখনও বেঁচে
প্রকাশ্যে দলের সাংসদের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে এলো। তবে এদিন তিনি দলের কোনও নেতা বা কর্মীর নাম করেননি। দলের কেউ কেউ সম্বোধন করে সাংসদ তার বক্তব্যে দলের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন। বেশ কিছুদিন আগে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র দলের ছাতনা মন্ডল সভাপতিকে ফোনে রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সম্পর্কে বিতর্কিত বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। সেই ফোন রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য, প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশী দাদাকে মারধর
জেলা সভাপতির ফোনের এই বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে জেলা বিজেপি। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরের প্রস্তুতি সভায় দেখা যায়নি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি হরকালী প্রতিহারকে। দেখা যায়নি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রকেও৷