১০ দিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজত শেষ আজই। জোকা হাসপাতালে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বুধবারই আদালতে পেশ করার হবে।
১০ দিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজত শেষ আজই। জোকা হাসপাতালে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বুধবারই আদালতে পেশ করার হবে। মঙ্গলার জুতোকাণ্ডের পর এদিন সকাল থেকে জোকা হাসপাতালের পাশাপাশি আদালতে চত্ত্বেরও বাড়নো হয়েছে নিরাপত্তা। কিন্তু এদিনও জোকা হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সামনে পেয়েই তাঁর বান্ধবী হিসেবে সামনে আসা অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে না। কিন্তু এদিন নীরব থেকেছেন পার্থ। মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্পিতাও।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় টাকা কার? জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুরোপুরি চুপ ছিলেন। তাঁকে ষড়যন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রী সেই বিষয়েও মুখে কুলুপ আঁটেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সম্পর্ণ অন্য মেজাজে ছিলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন তাঁর টাকা নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও জানিয়েছিলেন। টাকা কার এই প্রশ্নের উত্তরে সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন তিনি। অন্যদিকে উত্তর দেননি কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তবে এদিন কোনও প্রশ্নেরই উত্তর না দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জোকা নিজের মুখের সামনে দুই হাতের আঙুল দিয়ে চেপে ধরে রাখেন। ভাবটা অনেকটা এমন যেন শত প্রশ্ন করলেও তিনি কিছুই বলবেন না। অন্যান্য দিনের মত এদিনও তাঁকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছিল হাসরাতালে। পরণে ছিল সবুজ রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামা। মুখ ঢাকা ছিল মাস্কে। হাসপাতাল থেকে যখন পার্থ বাইরে বের হন তখন তিনি দুই হাতের মুঠো দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখেন। চোখও বন্ধ করে নেন। কিন্তু পার্থর কেমন এমন আচরণ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন দুটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছিল ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময়। ইডি সূত্রের খবর ডায়েরি দুটির বিষয়বস্তুর বেশ কিছুটা ইতিমধ্যেই ডিকোডিং বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা বোঝা গেছে তা হল ডায়েরিগুলির বিষয়বস্তু হল টাকার হিসেব। স্কুলশিক্ষক দুর্ণীতি থেকে আয় আর লেনদেনের হিসেব রয়েছে। যার অর্থ ডায়েরি গুলি পড়া শেষ হলেও এই দুর্ণীতিকাণ্ডে আরও যারা যুক্ত তাদের তথ্য সামনে আসতে পারে।
পার্থ - অর্পিতার গোপন কথা? বাজেয়াপ্ত দুটি ডায়েরি লেখা হয়েছিল কোড ব্যবহার করে