সংক্ষিপ্ত
গত ২২ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি ডায়েরির বেশ কিছুটা পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। সূত্রের খবর এই দুটি ডায়েরিকে কোড ব্যবহার করে লেখা হয়েছিল। যা সাধারণের পক্ষে পাঠোদ্ধার করা সম্ভব নয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রচুর সম্পত্তির হসিদ পাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তেশরা অগাস্ট অর্থাৎ বুধবার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিকাণ্ডে তাদের দুজনকে ফের পেশ করা হবে হবে কলকাতা আদালতে। এই অবস্থায় গত ২২ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি ডায়েরির বেশ কিছুটা পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। সূত্রের খবর এই দুটি ডায়েরিকে কোড ব্যবহার করে লেখা হয়েছিল। যা সাধারণের পক্ষে পাঠোদ্ধার করা সম্ভব নয়।
ইডি সূত্রের খবর ডায়েরি দুটির বিষয়বস্তুর বেশ কিছুটা ইতিমধ্যেই ডিকোডিং বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা বোঝা গেছে তা হল ডায়েরিগুলির বিষয়বস্তু হল টাকার হিসেব। স্কুলশিক্ষক দুর্ণীতি থেকে আয় আর লেনদেনের হিসেব রয়েছে। যার অর্থ ডায়েরি গুলি পড়া শেষ হলেও এই দুর্ণীতিকাণ্ডে আরও যারা যুক্ত তাদের তথ্য সামনে আসতে পারে।
ইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, ডায়েরি দেখে প্রথমে মনে করা হয়েছিল কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে তার সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে এই ডায়েরি দুটির। কিন্তু কিছুটা পাঠোদ্ধারের পরই স্পষ্ট হয়ে ডায়েরি থেকে জানা যেতে পারে কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় কোথায় গেছে। তিনি আরও বলেছেন এই কেলেঙ্কারি মসৃণভাবে চালান হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর দুটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। একটি কালো এক্সিকিউটিভ ডায়েরি আর অন্যটি সাধারণ পকেট ডায়েরি। কালো ডায়েরিতে টাকা নিয়ে বিষদ তথ্য রয়েছে। তাতে লেখাও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ইডির আধিকারিকদের বেশ কয়েকটি দল উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের মালিকানাধীন ৬টি নেইল আর্টের দোকানে হানা দেয়। চিরুনি তল্লাশির পর সেগুলি সিজ করে দিয়েছে তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে র খবর গ্রেফতারের আগে অর্পিতা দুটি বিলাসবহুল গাড়ি বুক করেছিল। যা খুব তাড়াতাড়ি ডেলিভারি হওয়ার কথা। পার্থ আর অর্পিতার সম্পত্তির একটি তালিকাও ইডির হাতে এসেছে। যা থেকে জানা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যের সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে অভিজাত ডায়মন্ড সিটিতে ৪টি ফ্ল্যাট ও বেলঘরিয়া ক্লাব টাউনে ২টি ফ্ল্যাট । নিউটাউনের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ বা অর্পিতার নামে। এছাড়াও বরানগরের একটি ফ্ল্যাটের দিকে নজর কয়েছে ইডির আধিকারিকদের। বোলপুরে রয়েছে সাতটি বাড়ি। সোনারপুরে রয়েছে একটি বাড়ি। হগলির জাঙ্গিপাড়ায় রয়েছে একটি বিশাল বাড়ি। তিনটি ফার্ম হাউসের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার মধ্যে একটি রয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে, অন্যদুটি বারুইপুর ও ঝাড়গ্রামে। এছাড়াও ৪৫ কোটি টাকার একটি স্কুলের সম্পত্তিক দিকে নজর রয়েছে তদন্তাকীদের। এই এলাকায় নাকি পরিকাঠামোখাতে খরচ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। বারুইপুরে ২৫ বিঘা জমিও রয়েছে।
'কোটি কোটি টাকা কার?', ইডি-র লাগাতার জেরায় কী ফাঁস করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ED-র নজরে পার্থ-অর্পিতার অঢেল সম্পত্তি, রইল তার লম্বা তালিকা