স্থায়ী ভবনের অভাব, তৃণমূল পার্টি অফিস ও পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চলছে শিশু শিক্ষা

Indrani Mukherjee |  
Published : Sep 05, 2019, 12:41 PM ISTUpdated : Sep 06, 2019, 09:26 AM IST
স্থায়ী ভবনের অভাব, তৃণমূল পার্টি অফিস ও পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চলছে শিশু শিক্ষা

সংক্ষিপ্ত

আজ শিক্ষক দিবস  সারা দেশ জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে এই দিন দুর্গাপুরে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দুরবস্থায় কার্যত চোখে জল শিক্ষিকাদের তৃণমূল পার্টি অফিস ও এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছে পঠনপাঠন

দীপিকা সরকার, দূর্গাপুর- আজ যেখান শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে এই বিশেষ দিনটি মহা সনমারোহের সঙ্গে পালন করা হচ্ছে, সেখানে পশ্চিম বর্ধমানের অন্তর্গত দুর্গাপুরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দুরবস্থায় কার্যত চোখে জল শিক্ষিকাদের। শিক্ষাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট কোনও ভবন না থাকায় তৃণমূল পার্টি অফিস ও এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রীতিমতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পঠনপাঠন। 

২০০১ সালে অনুমোদন পাওয়া এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বাংলা মাধ্যমের ৪৫ জন এবং হিন্দি মাধ্যমের ৬২ জন পড়ুয়া রয়েছে।  শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের অভিভাবকদের তরফে জানা গিয়েছে, যে সেখানে পড়াশোনার কোনও পরিকাঠামো নেই। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, এখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে তারা। শুধু তাই নয় এখানে শিক্ষকদের বসার জন্য নেই কোনও চেয়ার বা টেবিলের ব্যবস্থাও। মিড-ডে-মিল-এর চালের বস্তা কেটে বসানো হয় পড়ুয়াদের। দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুর্গন্ধ এড়াতে শিক্ষিকারা ধূপ জ্বলিয়ে শিশুদের পড়ায়। নিজেদের স্বল্প বেতন থেকেই চাঁদা তুলে শিক্ষিকারা একটি সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি, মিড-ডে-মিলের হাতা খুন্তি ডেকচি সহ শিশুদের যাবতীয় প্রয়োজনের  জিনিসগুলির যথাসাধ্য ব্যবস্থা করেন তাঁরা। 

শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, মোট ৫ জন শিক্ষিকা এখানে রয়েছেন। বন্দনা কর্মকার, অঞ্জনা দত্ত ও মমতা কর্মকার বাংলা মাধ্যমের এবং রৌনাক জাবিন ও জিনাতুন নিশা রয়েছেন হিন্দি মাধ্যমের ভারপ্রাপ্ত। তাঁদের কথায়,প্রায় ৬০ বছর আগের তৈরী হওয়া  ডিএসপির একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র যা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, সেখানেই প্রায় ১৯ বছর ধরে  শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি চলছে।পরিত্যক্ত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা একেবারেই বেহাল অবস্থায়ে পড়ে থাকায় বাংলা মাধ্যমের ৪৫ জনকে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিসের একটি ছোট্ট ঘরে গত এক বছর ধরে চলছে পঠনপাঠন। মেরামতির অভাবে ওই ভবনটির ছাদ থেকে কংক্রিটের চাঙড় খুলে আসছে বলেও জানান তাঁরা। অনেকসময়ে এমনও হয়েছে অ্যাসবেসটস ভেঙে পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের গায়ের ওপর পড়ছে। 

রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর, ২০২২ সালের মধ্যে আসতে চলেছে ৪০টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

দিতে হবে প্রাপ্য অধিকার, শিক্ষক দিবসের দিনেই পথে নেমে আন্দোলনের ডাক

উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জের, বন্ধ রাখা হবে চিংড়িহাটা ফ্লাইওভার

ইত্যাদি নান সমস্যার কারণে গতবছর এলাকার কাউন্সিলার এলাকারই একটি তৃণমূল কার্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিন্তু কার্যালয়টি আকারে ছোটো হওয়ায় সব পড়ুয়াদের জায়গা হয়নি। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বাকি পড়ুয়ারা এখনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পঠনপাঠন করছে। শিক্ষিকাদের কথায়, এত বছর ধরে এখানে শিশুদের পড়িয়ে পড়ুয়াদের প্রতি একটা মায়া জন্মে গিয়েছে তাঁদের। স্থানীয় কাউন্সিলার রাখী তিওয়ারি বলেন, এই বিষয়ে পুরসভাতে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তবে দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থির কথায়, তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনও খবরই আসেনি। কাউন্সিলারও কিছু জানানি। পাশাপাশি দুর্গাপুর মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছেও এবিষয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মহকুমার এসএসকে কেন্দ্র গুলি সংস্কার করার জন্য জেলাশাসককে ইতিমধ্যেইআবেদন করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ করা হলেই কাজ শুরু করা হবে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

লোকসভায় দাঁড়িয়ে কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন কী বলছেন
শেখ শাহজাহানকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আর্জি শুভেন্দুর, দেখুন কী বলছেন