সংক্ষিপ্ত

  • সামরিক ট্রেন চালাল ভারতীয় রেল 
  • দ্রুতার সঙ্গে সেনা বাহিনীকে একত্রিত করাই উদ্দেশ্য 
  • ২১৫ কিলোমিটার রেল পথে পাড়ি
  • ফ্রেইট করিডোর দিয়েও চালান হল ট্রেন 

'অক্সিজেন ট্রেন'র পর এবার ভারতীয় রেলের সাফল্য এল 'সামরিক ট্রেন'এও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে আরও একবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারতীয় রেল। দেশজুড়ে সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিত করার ক্ষমতা বাড়াতে ভারতীয় সেনা বাহিনী সম্প্রতি তৈরি হওয়া ফ্রেইট করিডোর দিয়ে সাঁজোয়া যান আর যুদ্ধ সরঞ্জামবাহী  একটি সামরিক ট্রেন চালাল। গোটা পরীক্ষাতেই সাফলভাবে পাশ করেছে ভারতীয় রেল আর ভারতীয় সেনা। 

রাজ্যে শুরু হচ্ছে শিশুদের শরীরে করোনা টিকা পরীক্ষা, জানুন বিস্তারিত ...
সামরিক ট্রেনটি হরিয়ানার নিউ রেওয়ারি থেকে রাজস্থানের নিউ ফুল্লরা পর্যন্ত যাত্রা করেছিল। ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ডেডিকেটেট ফ্রেইট করিডোর আর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ভারতীয় রেলপথের সঙ্গে জটিল ও সিঙ্ক্রোনাইজেশন বা সমন্বয় সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিত করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেবে। দ্রুত পরিবহনের লক্ষ্যে এই ট্রায়ালগুলি গুরুত্বপূর্ণ বলেও সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। প্রথম সামরিক ট্রেনটি প্রায় ২১৫ কিলোমিটার যাত্রা করে বলেও জানান হয়েছে। এজাতীয় পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বলেও জানান হয়েছে। 

গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পরেও অনড় চিনা সেনা, এক নজরে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত-চিনের অবস্থান ...

DFCCIL ও ভারতীয় রেলপথসহ সকল সহযোগীদের সঙ্গে ভারতীয় সেনা বাহিনীর এই সংযোগ সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিতকরণের ম্যাট্রিক্স আগামীদিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, রোল-অন, রোল-অফ পরিষেবাতে রক্ষিত মালিকানাধীন রোলিং স্টককে চালুর বৈধতা দেওয়ার জন্য ট্র্যাফিক্স ট্রায়ালস আর ট্রায়ালগুলিকে সমর্থন করার জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে অবকাঠামোগত বিকাশ আর পদ্ধতিগত বিকাশ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এজাতীয় অবরাঠামো উন্নয়ন সামরিক প্রয়োজনীয়তা যাতে পরিপূর্ণ করা যায় সেই লক্ষ্যেই আগামী দিনে কাজ করা জরুরি। 

গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পার, চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত ...

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ভিডিও কনফারেন্সিয়ের মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরের ৩০৬ কিলোমিটার পথ উদ্ধোধন করেছিলেন। সাধারণ রেলপথে মাহবাহী ট্রেনের গতি যেখানে ৭০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা থাকে এই অংশে মালবাহী ট্রেনের গতি থাকবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ৬০-৮০ টন সামগ্রীও এই এলাকায় দিয়ে রেল পথে বহন করা যাবে। ডিএফসি গোটা দেশে ছটি ফ্রেইট করিডোর নির্মাণ করবে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাকে সংযুক্ত করবে ওয়েস্টার্ন  করিডোর, পঞ্জাব আর বাংলাকে সংযুক্ত করার জন্য দুটি ফ্রেইট করিডোর নির্মাণের কাজ চলছে। পশ্চিম আর পূর্ব ডিএফসিগুলির জন্য সম্মিলিত ভাবে ২ হাজার ৮৪৩ কিলোমিটার রেল পথ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যায় হবে ১১.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।