' লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতির চোখের জল, বৃথা যেতে পারে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম বেরিয়ে আসবে', দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পার্থকে গ্রেফতার করলেই, মমতা ও অভিষেকের নাম বেরিয়ে আসবে, এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। সম্প্রতি সেই মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, পার্থ্য চট্টোপাধ্য়ায়কে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই দুর্নীতির সঙ্গে মমতা-অভিষেকও জড়িত বলে দাবি শুভেন্দুর।
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের এজেন্টরা বাংলায় টাকা নিয়ে চাকরি দিচ্ছে।মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিচ্ছে না। যার ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। যত কমিটিই করুক না কেন , কাজ হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে। তাহলে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই, প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেই ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সিবিআইয়ে হাজিরার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৫ সপ্তাহ পর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,' লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতির চোখের জল, বৃথা যেতে পারে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম বেরিয়ে আসবে।' তাই অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, 'নেপথ্যে শুভেন্দু', ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই নোটিশ পেতেই বিস্ফোরক তৃণমূল
আরও পড়ুন, 'সীতা'-কে নিয়ে মন্তব্যের জের, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র গ্রুপ ডি পর্যায়ে নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। এরপর সোমবার গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি। সূত্রের খবর, রিপোর্টে দাবি করা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে যুগ্মসচিব যে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল তা বেআইনি। সরকারি নির্দেশ মেনে ওই কমিটি তৈরি হয়নি। প্যানেলে থাকা ৬০৯ জন পাশই করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। রিপোর্টে এই বিষয়টি জানার পরই পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, ধৃত যুবক