ভয়াবহ ভাঙনের ফলে ঘর-বাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। মাথার উপর ছাদও হারিয়ে ফেলেছেন। ঘর হারিয়ে এখন তাঁদের ঠাঁই হয়েছে খোলা জায়গায়।
মালদহে ভয়াবহ নদী ভাঙন। চোখের সামনে গঙ্গায় তলিয়ে গেল শতাধিক বাড়ি। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাল গঙ্গা। স্থানীয়দের চোখের সামনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল একের পর এক পাকা বাড়ি ও গাছপালা। মালদহের বৈষ্ণবনগরের চিনাবাজার ও বালুটোলা এলাকায় ধরা পড়ল এই ছবি। এর জেরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন- ফিরহাদের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে প্রতারণা, লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা যুবক
ভয়াবহ ভাঙনের ফলে ঘর-বাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। মাথার উপর ছাদও হারিয়ে ফেলেছেন। ঘর হারিয়ে এখন তাঁদের ঠাঁই হয়েছে খোলা জায়গায়। এদিকে ভয়াবহ ভাঙনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তথা ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন- বাড়ি ভাঙচুরের পর তৃণমূল নেতার মাকে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি নেতার
নদীর জল বাড়তেই ফের রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে গঙ্গা। গত কয়েকদিন ধরে ভাঙন চলছিল মালদহের লালুটোলা এবং ভীমাগ্রাম এলাকায়। শুক্রবার বিকেল থেকে নতুন করে ফের ভাঙন শুরু হয় বৈষ্ণবনগরের বীরনগর-১ পঞ্চায়েতের চিনাবাজার এবং লালুটোলা এলাকায়।
আরও পড়ুন- এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, পুরুলিয়ায় শুরু ধস নামা সেতু সংস্কারের কাজ
ভাঙন এত তীব্র হয়েছে যে অনেকেই মূল্যবান সামগ্রীও ঘর থেকে সরানোর সুযোগ পাননি। কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে ঘর ছেড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। ইতিমধ্যেই ভাঙনে সর্বস্ব খুইয়েছেন এই দুই গ্রামের প্রায় হাজারখানেক মানুষ। সকলেরই আক্ষেপ, বারবার ভাঙনের কথা বললেও কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কোনও কর্তৃপক্ষই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। আর দুই সরকারের চাপানউতোরের মধ্যে পড়ে নদীতে সর্বস্ব হারাচ্ছেন গরিব মানুষ।
সর্বস্ব হারিয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে সরকার পাশে এসে না দাঁড়ালে জীবনযাপন করাই কঠিন হয়ে পড়বে।