অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালান ওই বিজেপি নেতা। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে।
ফের জমি বিবাদ নিয়ে উত্তপ্ত এলাকা। স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ওই নেতার মাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে আবার জমি মাফিয়ার তাণ্ডব। বেআইনিভাবে জমি দখল করে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালান ওই বিজেপি নেতা। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। এই ঘটনায় হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনেই থাকেন বিজেপি নেতা অর্জুন কেশরী। পাশেই রয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি। অভিযোগ, অর্জুন গতকাল গভীর রাতে নিজের বাড়ি ভাঙতে শুরু করেন। আর তাঁর বাড়ির পাশে থাকা তৃণমূল নেতা সোনু কেশরীর বাড়িও ভাঙেন তিনি। সেই এলাকা জোর করে দখল করার চেষ্টা করেন। পরে সোনুর মা বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকী, ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন অর্জুন। ওই মহিলার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে রয়েছেন অর্জুন। এখন এই বেআইনি সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইছেন। তাই বাড়ি ভাঙা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন- ফিরহাদের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে প্রতারণা, লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা যুবক
অর্জুন কেশরীর মাসির ছেলে সোনু কেশরী। অর্জুন তাঁকেও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাওয়ার পর গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, পুরুলিয়ায় শুরু ধস নামা সেতু সংস্কারের কাজ
তৃণমূলের হিন্দিভাষী সেলের ব্লক সভাপতি সোনু কেশরী বলেন, "অর্জুন কেশরী দলবল নিয়ে এসে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার বৃদ্ধা মাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এমনকি ছুরিও দেখায়। গোটা ঘটনা থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ আসতেই ওরা পালিয়ে যায়। দলকেও জানিয়েছি এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।"
এদিকে বিজেপি নেতা অর্জুন কেশরী বলেন, "সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বাড়িটি আমি আমার ভাইয়ের কাছে বিক্রি করেছিলাম। আমি ভেতরে আমাদের অন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম। এই ধরনের কিছু আমি করিনি।"
আরও পড়ুন- ভারী বৃষ্টির দোসর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া, মুর্শিদাবাদে জলমগ্ন কয়েক হেক্টর চাষের জমি
যদিও কটাক্ষের সুর চরিয়েন তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, "সকালে ঘটনাটি শুনেছি। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। সোনু কেশরী ভোটে ভালো কাজ করেছিল। তাই হারের বদলা বিজেপি এইভাবে নিচ্ছে। আমরা আইনের উপর ভরসা করি, পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য।" পাল্টা বিজেপি নেতা রুপেশ আগারওয়াল বলেন, "বিজেপির এই ধরনের কোনও সংস্কৃতি নেই। এটা দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তৃণমূল সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করছে। ভোটের পর থেকে বাংলায় সাংস্কৃতিক অবক্ষয় হয়েছে। তৃণমূলেরই এটা সংস্কৃতি।"