সংক্ষিপ্ত
দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাসুদেব মাহাত ওই ধসের মধ্যে বাঁশ পুঁতে তার উপর লাল জামা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী, ধসের চারপাশে ইট ও পাথর দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। যাতে বিপদ বুঝে সেদিকে কেউ যেতে না পারেন।
৫ অগাস্ট পুরুলিয়ার ঝালদা গোলা সড়কপথের ডুমুরডি গ্রামের অদূরে অবস্থিত সাপুই নদীর সেতুতে ধস নেমেছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাসুদেব মাহাত ওই ধসের মধ্যে বাঁশ পুঁতে তার উপর লাল জামা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী, ধসের চারপাশে ইট ও পাথর দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। যাতে বিপদ বুঝে সেদিকে কেউ যেতে না পারেন। এই খবর প্রকাশিত হয় এশিয়ানেট নিউজ বাংলায়। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে পূর্ত দফতর। ধস নামা অংশে শুরু হয়েছে মেরামতের কাজ।
আরও পড়ুন- ভারী বৃষ্টির দোসর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া, মুর্শিদাবাদে জলমগ্ন কয়েক হেক্টর চাষের জমি
ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি পুরুলিয়াও। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই হঠাৎ ধস নেমেছিল সাপই নদীর সেতুতে। ধসে যায় সেতুর কিছু অংশ। মাটি ধসে যাওয়ার ফলে সেখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল সেখানে।
"
এদিকে সেতুর উপর থাকা ধস চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল স্থানীয়দের। ফলে তার পাশ দিয়েই অবলীলায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করছিলেন অনেকেই। গর্তটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি কেউই। এরপর সেই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে বড় গর্ত দেখতে পান বাসুদেব। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। দেখেন সেতুর নিচের মাটি আলদা হয়ে সেখানে ধস নেমেছে। এরপর ওই এলাকায় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য স্থানীয়দের সাহায্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেন। বাঁশের সঙ্গে একটি লাল জামা আটকে সেখানে পুঁতে দেন, এর ফলে সেখানে যে বিপদ রয়েছে তা অনায়াসেই বুঝতে পারবেন গাড়ির চালকরা। এছাড়া ওই গর্তের চারপাশ পাথর ও ইট দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখেন। গাড়ি নিয়ে ধসের কাছে যাতে কেউ আসতে না পারেন তার জন্য এই পদক্ষেপ করেন।
এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে পূর্ত দফর। সেতু মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এই সময় সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৩০ বছরের পুরোনো সেতু। এই সেতু ভেঙে গেলে ঝালদা সহ পুরুলিয়ার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ ব্যাহত হবে। তবে পূর্ত দফতর তড়িঘড়ি সেতু মেরামতের কাজে হাত দেওয়ায় খুশি সকলেই।
বাসুদেব মাহাতর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "সেদিন সেতুতে ধস নামর খবর একমাত্র এশিয়ানেট নিউজ বাংলা প্রকাশ করেছিল। যার জেরে পূর্ত দফতর নড়েচড়ে বসে। সেতু মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে ধন্যবাদ এবং কুর্নিশ জানাচ্ছি।"