আবার আন্দোলনে ভাঙড়ের জমি রক্ষা কমিটি। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি বলেই ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু করে দিলেন এই কমিটির সদস্যরা।
আবার আন্দোলনে ভাঙড়ের জমি রক্ষা কমিটি (The Bhangar Land Protection Committee) । ২০১৭ সালে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন থেকে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিল ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। লাগাতার আন্দোলনে সরকারকে কার্যত পর্যুদস্ত করে নিজেদের দাবি দাওয়া আদায় করেছিল এই কমিটি। কিন্তু বুধবার থেকে ফের নতুন করে আন্দোলনে নেমে পড়লেন তাঁরা। সরকারের ( Government) দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি বলেই ফের নতুন করে আন্দোলন ( Movement) শুরু করে দিলেন এই কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'চলো যাই', চা খেতে খেতে উত্তরবঙ্গে ইন্দ্রনীলের গানে মাতলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজেদের দাবিদাবা পূরণ না হওয়ায় বুধবার দুপুরে পাওয়ার গ্রীডের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এলাকায় হিমঘর নির্মাণ, বিদ্যাধরী খাল সংস্করণ, দ্রুত পঞ্চায়েত খুলে সাধারণ মানুষের যথাযথ কাজ প্রদান সহ একাধিক দাবি তুলে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পাওয়ার গ্রীড বিরোধী আন্দোলনকারীরা। সচল রাস্তার পাশে মুক্ত মঞ্চে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। হঠাৎ করেই রাস্তার উপর জ্বালানো হয় আগুন। ২০১৭ সালে পাওয়ার গ্রীড বিরোধী আন্দোলনকে সামনে ভাঙড়ের নতুনহাট, খামারআইট, মাছিভাঙা, পদ্মপুকুর সহ একাধিক এলাকায় মানুষ বৃহত্তর আন্দোলনে নেমেছিলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেশকিছু দাবিদাওয়ার শর্তে শুরু হয়েছিলো পাওয়ার গ্রীডের কাজ। জমি কমিটির অভিযোগ যে সকল শর্তে পাওয়ার গ্রীডের কাজ শুরু হয়েছিল সেগুলি সরকার পূরণ করেনি। সেই দাবি দাওয়া আদায়ের জন্যই এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন, Alapan Bandyopadhyay: 'কেউ বাঁচাতে পারবে না', আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে খুনের হুমকি, তদন্তে গোয়েন্দা
যদিও এদিন আন্দোলনকারীদের সেই ঝাঁজ অবশ্য সেভাবে চোখে পড়েনি। মুক্তমঞ্চে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী সহ অনান্য নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখেন। সামনে তখন গোটা কতক সাধারণ মানুষ। সচল রাস্তায় যাতে সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধা না হয় সেকারণে মোতায়েন ছিলো কাশিপুর থানার পুলিশ। সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে কার্যকরী করা ও পঞ্চায়েত না চালিয়ে জবরদস্তি মানুষকে বেকায়দায় ফেলা এসবের জন্য এদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বলে জানান জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী। জমি কমিটির হার্মাদরাই প্রধান উপপ্রধান সহ সরকারি কর্মীদের মারধর করায় পঞ্চায়েত বন্ধ, সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান তথা আরাবুল পুত্র হাকিমূল ইসলাম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেও এই একই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সরকারি সমস্ত দাবি পূরণ হয়নি, এই অভিযোগ উঠেছিল। এদিন থেকে ফের নতুন করে আন্দোলনে নেমে পড়ল ভাঙড়ের জমি রক্ষা কমিটি।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে