এবার সাঙে ভাসান বন্ধ, জগদ্ধাত্রী পুজোর মাঝেই মনখারাপ কৃষ্ণনগরবাসীর

  • এবার কৃষ্ণনগরে সাঙে ভাসান বন্ধ
  • এমনটাই জানিয়ে দিল প্রশাসন
  • তাতেই মন খারাপ নগরবাসীর
  • করোনা বিধি মেনেই এবার পুজো হবে সেখানে

Poulomi Nath | Published : Nov 22, 2020 1:32 PM IST / Updated: Nov 22 2020, 09:49 PM IST

মৌলিককান্তি মন্ডল, নদিয়া: কৃষ্ণনগরবাসীরা সারা বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এই একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়ে আজও একইরকম ভাবে চলে আসছে এই পুজো। এই কৃষ্ণনগরের পুজোর একটা বিশেষ আকর্ষন কাঁধে বা সাঙে ঠাকুর ভাসান। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার মানুষ জগদ্ধাত্রী ভাসান দেখতে ভিড় জমান। এবার সেই নিয়মেই আসছে বদল। এবার আর সাঙে ভাসান হবে না কৃষ্ণনগরে, জানিয়ে দিল কৃষ্ণনগরের প্রশাসন।

সাঙে ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার এই প্রচলন দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে কৃষ্ণনগরে। তবে এবার তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা, যা মানতে রাজি ছিলনা কৃষ্ণনগরবাসীরা। এই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল ঝামেলা-অশান্তিও। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালিখিও করছিলেন অনেকেই। সাঙে ঠাকুর ভাসান হবে না এটা মানতে নারাজ ছিলেন কৃষ্ণনগরবাসীরা। এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে চুরান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হল। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে এবছরের জন্য সাঙে কোনও ঠাকুরই ভাসান হবে না কৃষ্ণনগরে।

রবিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগরে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে বারোয়ারী পূজো সংখ্যা প্রায় ১৩০ টি বাড়ির পূজো রয়েছে ৪০ টির মত। কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্র ভবনে সেই সমস্ত পুজো বারোয়ারীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় প্রশাসনিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কৃষ্ণরগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত,পুরপ্রশাসক অসীম কুমার সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।ঐতিহ্যবাহী পুজো গুলির মধ্যে কৃষ্ণনগরে চাষাপাড়ার বুড়িমা পুজো। এবার করোনা পরিস্থিতিতে সেখানেও ঘট বিসর্জন এবং কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার পুজো হচ্ছে সমস্ত বারোয়ারী গুলিতে। পুলিশি নিরাপত্তাও এবার অন্য বছরের তুলনায় অনেকবেশি জোরদার করা হচ্ছে। পুজো মন্ডপগুলিতে স্যানিটাইজারেরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- যোদ্ধার সাজে সজ্জিতা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমা, করোনা আবহে দর্শক শূন্য মণ্ডপ

আরও পড়ুন- আলোর উৎসবে নেই আলোর দেখা, অর্থ সঙ্কটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কালীপুজো হয়ে গিয়েছে কৃষ্ণনগরে। কালী পুজোতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কোনও ঠাকুর সাঙে ভাসান হবে না। তবুও কৃষ্ণনগরের একটি ঠাকুরকে সাঙে নিয়ে যাওয়া নিয়েই শুরু হয়েছিল এই বিবাদ। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোয় কোনও ঠাকুরই যাবে না কাঁধে। যা নিয়ে এখন একরকম মনখারাপ কৃষ্ণনগরবাসীর।


 

Share this article
click me!