সংক্ষিপ্ত

  • যোদ্ধার সাজে ঐতিহ্যবাহী রাজরাজেস্বরী দুর্গা প্রতিমা
  • ভিড় নেই কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজোয়
  • অর্ধ গোলাকার দেবির চালচিত্র
  • করোনা থাবায় বন্ধ ছিল রাজবাড়ির প্রবেশ পথ

মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া-ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির পুজোয় থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কমেছে পুজোর জৌলুস। রাজবাড়ির পুজোর বাজেটে কাটছাঁট করেই ভিড় এড়িয়ে নমোনমো করেই চলছে দুর্গা পুজো।

আরও পড়ুন-পুজোর মরসুমে চেনা ছবি উধাও মুর্শিদাবাদে, নেই পর্যটক সমাগম-শুনশান নবাব নগরী

নদিয়ার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরী দুর্গা প্রতিমা। প্রতিবছর জাঁকজমক পূর্ণ হলেও এবছর সেই উৎসবের সমারোহ নেই রাজবাড়িতে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দুর্গা প্রতিমার উচ্চতা প্রায় দেড় ফুট ছোট। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এই রাজবাড়িতে রাজরাজেশ্বরীর পুজো দেখতে প্রতিবছর ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু এবছর, করোনা আবহে আদালতের নির্দেশে ভিড় কম রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। পুজো মণ্ডপ দর্শক শূন্য রাখেন পুজো উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন-মণ্ডপে গুটি কয়েক লোক, দর্শক শূন্য পুরুলিয়ার নিতুরিয়া দুর্গাপুজো

এবছর করোনার থাবায় রাজবাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ছোট গেট দিয়ে অল্প সংখ্যক দর্শকদের ধাপে ধাপে মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নাট মন্দিরে পুজোর দালানে যেখানে মূর্তি রয়েছে, ভিড় এড়াতে তার অন্য প্রান্তে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিয়েছেন রাজবাড়ির পুজো উদ্যোক্তারা। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজরাজেশ্বরী মাকে দর্সশন করতে পারছেন দর্শকরা। 

আরও পড়ুন-পুজো প্যাণ্ডেল নয় যেন আস্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজ, কোভিড ওয়ারিয়র্স থিমে ভাইরাল কালিয়াগড় পুর্বপাড়া সার্ব

কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তা আসে। এক সময় রাজবাড়ির সন্ধি পুজোয় কামান দাগা হত। বলি প্রথা থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। বিসর্জনের সময় ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি। এখন তা সবই অতীত। তবুও স্মৃতির সাক্ষী বহন করে আজও ঐতিহ্যবহন করে চলেছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গা পুজো।