সংক্ষিপ্ত
'সমস্ত স্কুল-শিক্ষকদের অবিলম্বে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে হবে', এমনটাই দাবি জানিয়েছে বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির গৃহশিক্ষকরা। ইতিমধ্য়েই কোর্টে মামলা করা তাঁদের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ওই সমিতি।
'সমস্ত স্কুল-শিক্ষকদের অবিলম্বে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে হবে', এমনটাই দাবি জানিয়েছে বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির ( PTWA-private tutor welfare Associate) গৃহশিক্ষকরা। ইতিমধ্য়েই কোর্টে এনিয়ে মামলা করা হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি।
শুক্রবার রাতে বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির- ( PTWA-private tutor welfare Assoc ate) কিছু গৃহশিক্ষকরা দাবি রেখেছে যে, অবিলম্বে স্কুল শিক্ষকরা যেভাবে প্রাইভেট টিউশনি চালিয়ে যাচ্ছে তা এখনই বন্ধ করতে হবে। ২০২৮ সালে এই আইন পাশ হয়ে যায় যে, স্কুল শিক্ষকরা কখনোই প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না। কিন্তু স্কুল স্কুল শিক্ষকরা এখনও বেআইনিভাবে প্রাইভেট টিউশন করে যাচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির একটাই দাবি, , স্কুলশিক্ষকদের অবিলম্বে এই বেআইনী ভাবে প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করা দরকার। এবং তারা আরও জানিয়েছেন যে, 'অলরেডি কোর্টে কেস করা তাদের হয়ে গেছে। আগামী দিনে যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে আরও বড় রকমের স্টেপ নিতে বাধ্য হবে বারাসাত গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি।'প্রসঙ্গত শুধু বারাসাতেই নয়, বাঁকুড়া জেলাতেও স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন, School-Students: পুনরায় চালুর পর স্কুল ফাঁকা, সহপাঠীদের ফেরাতে পথে নামল পড়ুয়ারাই
২০০০ সালের শুরুতেই বাম আমলে রাজ্যে এনিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। রাতারাতি স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিন পড়ানো বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু যারা পারেননি, প্রাইভেট টিউশনে আয় বেশি, এই তত্ত্বে বিশ্বাসী হয়ে স্কুলের সরকারি চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকক্ষেত্রে কড়াকড়ি কমতেই পড়ানো আবার শুরু হয়। তবে তারপর গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বদল হয়েছে সরকার। বদলেছে পে স্কেলও। কিন্তু যারা কোনওকালেও স্কুলে পড়াননি, শুধু প্রাইভেটে পড়িয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন তাঁদের জন্য এটা অনেকটাই কঠিনতম হয়ে গিয়েছে। এদিকে মাঝে কোভিডের জেরে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। যার জেরে প্রথম কয়েকমাস কিছুই করতে পারেননি তারা। যার জেরে কোভিড বর্ষের পরে তাঁদের উদ্বেগ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ প্রথম দিকে অনলাইন ক্লাস ততটা সহজ লভ্য হয়নি। কারণ এর সঙ্গে ইন্টারনেট ইস্যুও জড়িয়ে আছে। যা খরচ সাপেক্ষ। তাই প্রাইভেট টিউটরদের ব্যাচে যতোটা ভীড়, সেটা অনলাইনে অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার উপর রাজ্যে স্কুল নতুন করে খোলার পরে ফের তেমন আশার আলো খুজে পাচ্ছেন না গৃহ শিক্ষকেরা। তাই বলাই বাহুল্য এবার ক্ষোভ উগরে দিল বারাসাতের গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি।