লকডাউনের বাজারে গরিব মানুষের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ত্রাণ পাঠাচ্ছে সরকার। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে? বিলি না করে বস্তা বস্তা চাল নিজের বাড়িতে 'মজুত' করে রেখেছেন খোদ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে।
আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্তের শরীরে করোনা সংক্রমণ, ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরলেন স্থানীয়রাই
লকজাউনের জেরে দুর্ভোগের শেষ নেই। কাজ হারিয়ে চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে গবির, খেয়ে খাওয়া মানুষদের। তাঁদের জন্য ত্রাণের বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। চাল, ডাল-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বস্তাবন্দি করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিতে। ইসলামপুরের রামগঞ্জ - ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ইসলামের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে ত্রাণের জন্য বরাদ্দ চাল নিজের বাড়িতে এনে রেখে দিয়েছেন প্রধান মমতা সিংহ। সাধারণ মানুষকে বিলি করার ব্যবস্থাও করেননি। উপপ্রধানের দাবি, সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েত প্রধান নিজেই আত্মসাৎ করতে চাইছেন। বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: উদ্বেগের মধ্য়ে স্বস্তি, হাওড়া হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার-সহ ২ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে করোনা গুজবে আতঙ্ক, পুলিশের জালে দুই যুবক
কী বলছেন রামগঞ্জ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা সিংহ? তাঁর দাবি, এলাকার ১৬টি গ্রাম সংসদের জন্য ষোলো বস্তা অর্থাৎ ৮ কুইন্টাল চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। উপপ্রধান তো বটেই, পঞ্চায়েতে অন্য সদস্যদেরও চাল নিয়ে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু কেউই যাননি। নিজের বাড়িতে চালের বস্তাগুলি রাখলেন কেন? প্রধানের সাফাই, পঞ্চায়েত অফিসে বন্ধ, তাই সদস্যদের অনুমতিক্রমেই বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী রেখেছেন তিনি। বিলি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে রায়গঞ্জে নিম্নমানের চাল বিলি করার অভিযোগ ওঠেছিল খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপাড়ায় এলাকায়।