রায়গঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করলেন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল নেতা অরিন্দম সরকার। মৃতদের প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রায়গঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করলেন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল নেতা অরিন্দম সরকার। মৃতদের প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল নেতা অরিন্দম সরকার অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ' কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় বেহাল জাতীয় সড়কের জন্যই এতবড় দুর্ঘটনা ঘটল। এর দায়ভার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রককেই নিতে হবে।' মৃতদের প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।' প্রসঙ্গত,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উত্তর দিনাজপুরে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই কাজের চল্লিশ শতাংশও শেষ করেনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ বারবারই উঠে এসেছে। বুধবার রাতে পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি বাস রায়গঞ্জের কাছে রূপাহারে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। রূপাহারের স্থানীয় বাসিন্দারাও দুর্ঘটনার রাতে জাতীয় সড়কের বেহাল দশাকেই দায়ী করেছিলেন। জেলা প্রশাসনও মনে করছে যে জাতীয় সড়কের বেহাল দশা বর্ষাকালে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই কারেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বুধবার রাতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলাশাসক অরবিন্দ মীনা ।
আরও পড়ুন, 'অধ্যক্ষ সময় দিলেই BJP-র সাংসদ পদে ইস্তফা', দিলীপের 'ইংরেজি জ্ঞান'কে কটাক্ষ বাবুলের
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ইটাহারে বাসটি একটি গাড়িতেও ধাক্কা মারে। এরপরই চালক বাসের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। অত্যাধিক গতিতে চলতে থাকা বাসটি রূপাহারে জাতীয় সড়কের ডাইভারসানে এসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার পাশে থাকা নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে আরও খবর যে মৃতদের অধিকাংশই বাসের বাঙ্কে শুয়েছিল। তবে বাসে সওয়ারি যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া বয়ানে জানা গিয়েছে, বাসটি ৯৫ শতাংশ আসন ভর্তি ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে। বাসটি পাকুর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের তুলতে তুলতে মালদহ-রায়গঞ্জ হয়ে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। সেখানেও আরও কিছু পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে তোলার কথা ছিল। আপাতত জানা গিয়েছে যে বাসটির গন্তব্যস্থল ছিল লখনউ। যদিও, বাসে থাকা কিছু পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন তাঁরা দিল্লি যাচ্ছিলেন। তবে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর ও খালাসিরা জীবিত না মৃত সেই তথ্যও জানায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা