সরকারি আধিকারিককে উলঙ্গ করে পেটানোর হুমকি, গারদে তৃণমূলের যুব নেতা

 

  • বিডিও এবং বিএলএল আরকে   উলঙ্গ করে পেটানোর হুমকি
  • গ্রেফতার হলেন বানারহাটের যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক
  •  ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়
  • যদিও হুমকির কথা অস্বীকার করেছে অভিযুক্তের পরিবার

Asianet News Bangla | Published : Mar 13, 2020 2:20 PM IST / Updated: Mar 13 2020, 07:55 PM IST

বিডিও এবং বিএলএল আরকে   উলঙ্গ করে পেটানোর হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বানারহাটের যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কায়েশ। শুক্রবার ধুপগুড়ি ব্লকের বানারহাট থানার চামুর্চি নদীতে বেআইনিভাবে বালি,নুড়ি উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে ধূপগুড়ির বিডিও শঙখদ্বীপ দাস এবং বিএলএলআরও প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যকে হেনস্থা করা হয়। অভিযুক্ত তৃণমুল যুব নেতার নামে বানারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিএলএলআরও।ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়।

সব মাছ যেমন ইলিশ না, সব ভাইরাস করোনা না-বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বিডিও শঙখদ্বীপ দাস জানান, আমাদের কাছে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল চামুর্চি নদীতে বেআইনিভাবে বালি,নুড়ি,পাথর তোলা বন্ধ করতে হবে।সেইমতো আমরা বানারহাট থানার পুলিশ এবং বিএলএলআরও-কে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে বিকেলে যাই।নদীতে বেশ কয়েকটি ট্রাক বালি,নুড়ি তুলে ট্রাকে তুলছিল।ট্রাকের চালককে পাওয়া যায়নি।খালাসি ও মজদুররা ছিল।কিন্তু যেখানে বালি পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল সেই নদী বক্ষে তারা কোনও মাইনিং পারমিট দেননি বলে বি এল এল আর ও প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানান।

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল কেন্দ্র

এরপর বিডিও জানান,তাদের গাড়ি আটকে ধরেন কায়েস নামে এক ব্যক্তি।সে হুমকি দেয়।তাদের দুজনকে উলঙ্গ করে মেরে ফেলবে।ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।গাড়ির কাঁচে থাপ্পড় মেরে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে তাদের বলে বিডিও অভিযোগ করেন।

বাঙালদের ঝামা ঘষার কথা বিজেপির পোস্টে, পিকে-র ষড়যন্ত্র বললেন দিলীপ

বিএলএলআরও জানান, তিনি কায়েশের ট্রাককে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।কিন্তু তা নিয়ে তর্ক করতে থাকেন কায়েশের লোকজন।পরে কায়েস আসে ঘটনাস্থলে। নির্দিষ্ট মাইনিং ব্লকের বাইরে বে আইনিভাবে বালি,পাথর তোলার অভিযোগেই এদিন অতর্কিত অভিযান করা হয়েছিল চামুর্চি নদীতে।

তবে বানারহাট থানার পুলিশ না থাকলে তারা সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারতেন কি না তা নিয়ে দুই আধিকারিকই সংশয় প্রকাশ করেছেন। এদিকে ধৃত কায়েশের দাদা মহ জাফর আনসারি সে নিজেও তৃণমূলের এসসিএসটি সেলের ব্লক নেতা।কিন্তু তার ভাই অফিসারদের হেনস্থা বা গালিগালাজ করেনি।কেবলমাত্র ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে পারবে না বলে  কথা কাটাকাটি হয় ভাইয়ের সাথে দুই অফিসারের।

এই বিষয়ে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় জানান, দলের কেউ সরকারি আধিকারিক হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে দলের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বানারহাট থানার আই সি সমীর দেওসা জানান, প্রশাসনিক আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মহ কায়েশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
 

Share this article
click me!