আগেও একবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল, বরাতজোর বেঁচে গিয়েছিলেন। এবার আর রক্ষা পেলেন না। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিককে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পরিবারের লোকেদের দাবি, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মানতে চাননি মন্ত্রীর স্বপন দেবনাথ।
নিজে পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। আর স্ত্রী পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিককের দাপট ছিল যথেষ্টই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে যখন বাইকে করে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ইনসান, তখন বাইকে চেপে তাঁর পিছু নেয় দু'জন দুষ্কৃতী। একটু কাছাকাছি আসতেই পিছন থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিক। গুলি শব্দে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে হামলাকারী। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করে দেন চিকিৎসকরা। দলের কর্মীর ভর্তি করার জন্য কলকাতা তিনটি হাসপাতালে বলেও রেখেছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট দিয়ে আত্মঘাতী শিক্ষক
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে গলসি স্টেশনের কাছে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় ইনসান মল্লিকের। জ্ঞান হারান তিনি। গলসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইনসানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শনিবার বিকেলে তৃণমূল নেতার দেহ আনা হয় গ্রামের বাড়িতে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে খুন করা হয়েছে ইনসান মল্লিককে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।