অনুব্রত অথবা মানিক নন, একা পার্থকে নিয়েই কেন বিড়ম্বনায় তৃণমূল? দলের সিদ্ধান্ত জানালেন সৌগত রায়

ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে সৌগত রায়ের স্বীকারোক্তি, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই দলের বিড়ম্বনার কারণ। যে টাকাটা ওর সহযোগীর কাছ থেকে ধরা পড়েছে সেটা সবাই দেখেছে।’ 

Web Desk - ANB | / Updated: Oct 26 2022, 11:08 PM IST

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় সব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।  তাঁর মন্ত্রীত্বের পদও খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এতগুলো মাস কেটে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ঘাসফুল শিবির। এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদেই রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যও শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন ১৫ দিন আগে। তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থার নেয়নি তৃণমূল। একই দলের হেভিওয়েট নেতাদের ক্ষেত্রে দুই ভিন্ন রকমের অবস্থান কেন? 

অবশেষে ২৬ অক্টোবর সংবাদমাধ্যমের সামনে এবিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিমত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনায় স্তূপীকৃত টাকা উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য বা অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাই পার্থর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে দলের উপায় ছিল না। বুধবার তাঁর দাবি, মানিক ও অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত নয়।

সৌগত রায় বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে স্তূপীকৃত টাকা উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের তো অনেক তদন্ত হল। পুলিশ স্তূপীকৃত টাকা পায়নি। এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অমুক-তমুক বলছে। এগুলো সবই প্রমাণসাপেক্ষ। সেইজন্য দল অপেক্ষা করছে।’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘অনুব্রতর ক্ষেত্রেও তো বলছে, এখানে অ্যাকাউন্ট আছে, ওখানে অ্যাকাউন্ট আছে। এগুলোর ব্যাপারে তো কিছুই প্রমাণিত নয়। ওখানেও দুর্নীতির কোনও নগ্ন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র কী পেয়েছে সেটা আলাদা কথা।’

ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে সৌগত রায়ের স্বীকারোক্তি, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই দলের বিড়ম্বনার কারণ। যে টাকাটা ওর সহযোগীর কাছ থেকে ধরা পড়েছে সেটা সবাই দেখেছে। তার পর তো দল চুপ করে বসে থাকতে পারে না। বাকিগুলো তো কোনওটাই প্রমাণিত হয়নি’।

সৌগত রায়ের এই মন্তব্যকে ব্যাপক আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা। তাঁর মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতারাই এখন রাজ্যের মানুষের বিড়ম্বনার কারণ। উনি অধ্যাপক ছিলেন বটে। কিন্তু এখন ওনার আবার স্কুলে ভর্তি হওয়া উচিত। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা ওনাকে নৈতিকতা শিখিয়ে দেবে।’ আরেকদিকে, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ওনার বয়স হয়েছে। রাতে ওনার ভালো করে ঘুম দরকার।’

আরও পড়ুন-
শুধুমাত্র ঋষি সুনক নন, বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষমতাসীন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত
সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডের অভিযুক্ত সঞ্জয় কি শুভেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’? সিবিআইয়ের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য !
‘আরও অনেকেই গ্রেফতার হবেন’, শাসকদলের উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের! ইডি-সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

Read more Articles on
Share this article
click me!