পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ভোটের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেসময়ে নরেন্দ্রনাথ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যে অভিযোগে লেখা হয়েছিল, “সম্ভবত শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে এই কাজে নেমেছেন সঞ্জয়।”
বর্ধমানের সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে পাকড়াও হয়েছিলেন হালিশহরের পুরপ্রশাসক রাজু সাহানি। তাঁর পর এবার সঞ্জয় সিংহ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। দুর্গাপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় সিংহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সূত্রের খবর, বুধবারই সঞ্জয়কে আদালতে তুলতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, এর আগে একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ভোটের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেসময়ে নরেন্দ্রনাথ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যে অভিযোগে বিজেপি নেতার প্রসঙ্গ তুলে লেখা হয়েছিল, “সম্ভবত শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে এই কাজে নেমেছেন সঞ্জয়।” এর পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গত ১৭ জুলাই মামলা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দিন কয়েক জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন সঞ্জয়। এ বার আবার পাকড়াও করা হল তাঁকে। চিটফান্ড মামলায় সঞ্জয়কে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই দাবি করেছে যে, সঞ্জয়ও রাজুর ‘ঘনিষ্ঠ’।
সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডে হালিশহরের পুরপ্রশাসক রাজু সাহানিকে প্রথমে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সংশ্লিষ্ট মামলায় তল্লাশি হয়েছে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে। সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সুবোধ এবং কমল দু’জনেই হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির পর সেটির তদন্তের সময় সিবিআইয়ের সামনে এসেছিল সানমার্গ-কাণ্ড। তদন্তকারীদের একাংশ দাবি তুলেছেন, সানমার্গের আর্থিক কেলেঙ্কারিও সারদা কাণ্ডের মতোই বড়সড়। মাত্র দশ বছর ধরে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলার ব্যবসা চালিয়েছিল সংস্থাটি। ওইটুকুতেই টাকার বহরে টেক্কা দিয়ে যায় সারদা কেলেঙ্কারিকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও বহু রাজ্যের অসংখ্য আমানতকারীর টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার এবং অন্যান্য কর্তারা।
সম্প্রতি বেআইনি এই অর্থ লগ্নি সংস্থার তদন্তে নেমে এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা আর ত্রিপুরায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন-
‘আরও অনেকেই গ্রেফতার হবেন’, শাসকদলের উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের! ইডি-সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
‘অজ্ঞ অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন,’ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান
‘এতটুকু ঘরে থাকেন আপনি!’, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় এসে বিস্মিত হয়ে গেলেন বাংলার রাজ্যপাল লা গণেশান