Cyclone Jawad: জাওয়াদের জের, আগেভাগে শিকল দিয়ে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা

Published : Dec 02, 2021, 06:45 PM ISTUpdated : Dec 02, 2021, 08:50 PM IST
Cyclone Jawad: জাওয়াদের জের, আগেভাগে শিকল দিয়ে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা

সংক্ষিপ্ত

জাওয়াদ নিয়ে সতর্ক রেলও। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ট্রেনের চাকা বেঁধে রাখা হল শিকল দিয়ে। বৃহস্পতিবার এই ছবি দেখা গেল হাওড়ার শালিমার ইয়ার্ডে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এ ভাবেই বেঁধে রাখা হয় ট্রেন। 

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad)। ওড়িশা (Odisha) ও অন্ধ্র উপকূলে (Andhra Pradesh) আছড়ে পড়বে এটি। যার প্রভাব পড়বে এ রাজ্যে। তার জেরে আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ পূর্ব রেল (South Eastern Railway)। 

জাওয়াদ নিয়ে সতর্ক রেলও। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ট্রেনের চাকা (Train Wheel) বেঁধে রাখা হল শিকল দিয়ে। বৃহস্পতিবার এই ছবি দেখা গেল হাওড়ার শালিমার ইয়ার্ডে (Shalimar Rail Yard)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এ ভাবেই বেঁধে রাখা হয় ট্রেন (Train)। ঝড়ের দাপটে ট্রেন যাতে কোনওভাবে গড়িয়ে না যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। 

এছাড়াও বহু ট্রেন বাতিল (Train Cancel) করা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক নিরজ কুমার বলেন, "ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি (Rain) হবে। সেই কারণে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ যাওয়া আসার বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। আগামী ৩ ও ৪ ডিসেম্বর রেলের কয়েকটি ডিভিশনের আপের ২৭ টি ও ডাউনের ২২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যে সমস্ত যাত্রীরা আগে থেকে রিজার্ভেশন করেছে তাঁদের কাছে মোবাইলে মেসেজ যাবে। তাঁরা টিকিট বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে পারবেন।"

কেন ট্রেনের চাকা শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে ?

এ প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, দাঁড়িয়ে থাকা ‌ট্রেনগুলি ঝড়ের দাপটে কোনও কারণে নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে ট্রেনের চাকাগুলি বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে শুধু ঝড়ের ক্ষেত্রেই নয়, ট্রেন কোনও কারণে দীর্ঘক্ষণ কারণে দাঁড় করিয়ে রাখা হলে, তখনও ট্রেনের চাকা এভাবেই বেঁধে রাখা হয় বলেই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। 

এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি (Depression) আন্দামান সাগরে রয়েছে। সেটি খানিকটা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর সেটি আন্দামান থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যাবে। আর তারপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবারের মধ্যে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় অবশ্য এটি বঙ্গোপসাগরের মাঝে অবস্থান করবে। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে। 

শুক্রবার থেকেই বেশ কয়েকটি জেলা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সব থেকে বেশি বৃষ্টি হবে রবিবার। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। কিন্তু সেখান থেকে এটি স্থলভাগে ঢুকে যাবে কিনা, তা সুস্পষ্ট নয়। আর এর প্রভাবেই কলকাতা-সহ ৭ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে কলকাতা পুরসভাও। আপাতত ৭৬ টি পাম্পিং স্টেশনকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কন্ট্রোল রুমও খোলা থাকবে।

PREV
click me!

Recommended Stories

SIR-এর ভয়ে পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা, ব্যাগ ও বস্তায় ভরে কী নিয়ে যাচ্ছে? দেখুন
চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটার 'জট' কাটবে? কলকাতা মেট্রো-সহ সবপক্ষকেই বুধবার বৈঠকে বসতে নির্দেশ