সম্প্রতি ত্রিপরায় সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে তুলকালাম বেঁধে যায় দুই রাজ্যের মধ্যে। সোমবারই সেখানে ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আর তাতেই খানিকটা চাপে পড়ে গেরুয়া শিবির।
ত্রিপুরা(Tripura) নিয়ে ক্রমেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল(তৃণমূল)। ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকারের বিরুদ্ধে আদালত(Court) অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের(Trinamool at Supreme Court) দ্বারস্থ ঘাসফুল শিবির। এমনকী পুরভোট পিছানোরও দাবি তোলা হয়েছে। যদিও অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পিছুপা হচ্ছে না খোদ বিপ্লব দেবও(Biplob deb)। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা ত্রিপুরায় এসে এই রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।ভিনরাজ্যের নেতাদের এহেন অশান্তি তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ত্রিপুরাবাসী।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ত্রিপরায় সায়নী ঘোষের(sayoni ghosh) গ্রেফতারি নিয়ে তুলকালাম বেঁধে যায় দুই রাজ্যের মধ্যে। সোমবারই সেখানে ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আর তাতেই খানিকটা চাপে পড়ে গেরুয়া শিবির। অভিষেকের ত্রিপুরা গমনের পরেই যে তিনি সহজেই বিপ্লবের নিশানায় পড়বেন তা বলাই বাহুল্য। এদিকে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভিনরাজ্য থেকে বিজেপি নেতারা এসে প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যে। যা নিয়েও বিস্তর রাজনৈতিক তর্জা দেখতে পাওয়া যায় বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।
আরও পড়ুন-CBI তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে দরবার রাজ্য সরকারের
এদিকে ভিন রাজ্য থেকে আগত বিজেপি নেতাদের সেই সময় তৃণমূলের তরফে 'বহিরাগত' তকমা দেওয়া হয়েছিল। এবার তৃণমূলের দেখানো পথে হেঁটে তৃণমূলকেই ত্রিপুরায় বহিরাগত হিসাবে দেগে দিচ্ছে বিপ্লব শিবির। বিপ্লবের দাবি এই রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে বিজেপি আমলে। কিন্তু তৃণমূল জমানায় উল্টোটা হয়েছে বাংলায়। এদিকে বাংলা থেকে নানা কেলেঙ্কারির মাথা- মাফিয়ারা ত্রিপুরায় এসে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছে। তবে এর জবাব ব্যালট বক্সেই দিয়ে দেবে মানুষ। বিজেপি নেতৃত্বের স্পষ্ট দাবি ত্রিপুরায় এসে এঁরা যা করছেন, যে ভাষায় কথা বলছেন তা এঁদের মানায় না।বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথ-সুভাষচন্দ্রের ঐতিহ্যেকে ভূলুণ্ঠিত করছেন তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুন-SSC-র পর TET কাঁটা, দ্রুত রেজাল্ট বের করার দাবিতে এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের
এদিকে ত্রিপুরায় পা রেখেই একাধিক ইস্যুতে বিপ্লব দেব সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে থাকেন অভিষেক। অভিষেকের পাল্টা দেওয়ার জন্য তারপরেই বিজেপির তরফে আসরে নামানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে। আর তাদের হাত ধরেই ফের অভিষেকের সঙ্গে কয়লা চোর, বালি চোর তকমা জুড়ে চলছে রাজনৈতিক তর্জা। এমনকী গরু পাচারকারী বলেও তোপ দাগা হচ্ছে ক্রমাগত। এদিকে চলতি মাসের শেষেই রয়েছে ত্রিপুরার পৌরসভা নির্বাচন। সেখানেই এই তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক উত্তাপের ছাপ কতটা পড়ে এখন সেটাই দেখার।