সংক্ষিপ্ত

সোমবার টেট পরীক্ষার রেজাল্ট বের করার দাবিতে এ পি সি ভবনের সামনে বিক্ষোভ সামিল টেট পরীক্ষার্থীরা। যা নিয়ে ফের উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।

এসএসসি(SSC) চাকরি প্রার্থীদের একটানা আন্দোলনে(Movement) ইতিমধ্যেই চাপ বাড়ছে সরকারের উপর। এবার গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আরও চাপ তৈরি করলেন টেট পরীক্ষার্থীরা(TET candidates)। দ্রুত টেটের রেজাল্ট বের করার দাবিতে এবার আন্দোলনে সামিল হলে তারাও। সোমবার টেট পরীক্ষার রেজাল্ট বের করার দাবিতে এ পি সি ভবনের সামনে বিক্ষোভ সামিল টেট(TET) পরীক্ষার্থীরা। যা নিয়ে ফের উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন আড়াই লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। যদিও ফর্ম ফিলাপ পর্ব মিটলেও একাধিক জটিলতার কারণে দফায় দফায় পেরোয় পরীক্ষার তারিখ। যা নিয়েও চলতে থাকে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এমনকী করোনা কাঁটার জেরে তা আর বিলম্বিত হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি সেই পরীক্ষা নেয় সরকার। যদিও সেই রেজাল্ট এখনও হাতে পাননি চাকরি প্রার্থীরা। এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে বারংবার কথা বলা হলে চলতি বছর দুর্গা পুজোর আগে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata bandopadhyay)।

আরও পড়ুন- ভাঙন অব্যহত বিরোধী শিবিরে, বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেড় হাজার কর্মীর

মমতার আশ্বাসকে মান্যতা দিয়েছিল পর্ষদও। তবে পুজো কেটে গেলেও সেই পরীক্ষার রেজাল্ট বের করা হয়নি। আর তাতেই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বাড়থে থাকে উদ্বেগ। সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও(social media) প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন অনেক পরীক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখও কেন রেজাল্ট বের হয়নিনি তা নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকেও কিছু বলা হয়নি। এদিকে পরীক্ষার্থীদের স্পষ্ট দাবি দিনে দিনে বয়স বেড়ে চলেছে তাদের। তাই আর অপেক্ষা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অবিলম্বে বের হোক পরীক্ষার রেজাল্ট। আর সেই কারণে সোমবার সল্টলেকের এ পি সি ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন পরীক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন-  ৯ মাস ধরে জলের তলায় গোটা এলাকা, পুরভোটের মুখে পথ অবরোধ স্থানীয়দের

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আন্দোলনরত পরীক্ষার্থী আবু তালেব শেখ বলেন, আমরা ২০১৭ সালে একটা আন্দোলন করেছিলাম যাতে আমরা অবিলম্বে টেট পরীক্ষার দাবি জানাই। সরকার সেই দাবি মেনে ফর্ম ফিলাপ শুরু করে। যদিও তারপর আর পরীক্ষা হয়নি। আমরা ২০১৮ সালে বলেছিলাম পরীক্ষা নিতে, কিন্তু নেয়নি। ২০১৯ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।২০২০ সালে আমরা পুনরায় কোর্টে গেলে সরকারের দাবি ছিল পদই নাকি খালি নেই। এদিকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আমরা দেখলাম বেশ কিছু অবৈধ নিয়োগ হল। পরে ২০২১ সালে পরীক্ষা হলেও এখনও রেজাল্ট পাইনি। আমরা চারবছর ধরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে টেটের রেজাল্ট বের করুক।”