সর্বভারতীয় স্তরে রদবদলের পরই অশান্তির ছবি দেখা গেল বঙ্গ বিজেপিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির অন্দরে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল। রবিবার বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে হাতাহাতিতে জড়ায়। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন। এরপরই, অনুপম হাজরার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কয়েকজন নেতাকর্মী। জেলা নেতৃত্ব সম্পর্কে তাঁরা তাঁদের অভিযোগ জানান অনুপম হাজরার কাছে।
বিজেপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা এতটাই চরমে পৌঁছায় যে, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারুইপুর থানার পুলিশ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-দায়িত্ব পেয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুকুল, 'রাহুল সিনহা বিজেপির মুখ', মন্তব্য মুকুলের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত বলেন, ''কিছু দুষ্কৃতী দলীয় কার্যালয়ে এসে হামলা চালায়। দলীয় কর্মীদের মারধর করে। এরা আসলে বিজেপি নয়, এরা দুষ্কৃতী''। হরিকৃষ্ণ দত্তের অনুগামীদের দাবি, ''এই হামলার পিছনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্তের মদত রয়েছে''।
আরও পড়ুন-বসতবাড়ি গিলে ফেলছে ভাগিরথী, নদী ভাঙনের আতঙ্ক নদিয়ায়
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্ত এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ''আমি বিজেপিতে নবাগত। এখানে আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। মাত্র ২১ দিন হল আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। যতদূর শুনেছি জেলা সভাপতি সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের এই বৈঠকে ডাকেননি। নিজের কিছু লোককে দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন''।
আরও পড়ুন-ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ, দিনে দুপুরে বিডিও অফিস থেকে জিনিসপত্র লুঠ
বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''যদু বংশের মতো ধ্বংস হবে বিজেপি। বাংলার বুকে বিজেপির কোনও জায়গা নেই। সুবিধাবাদী মানুষরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন''। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে অনুপম হাজরার করোনা হলে জড়িয়ে ধরার মন্তব্যকে কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল বিধায়ক।