করোনা আবহে মাথাচাড়া দিচ্ছে বেকারত্ব। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাজ হারানোর সংখ্যা। আর্থিক সঙ্কটের আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন বহু মানুষ। কাজ হারিয়ে পারিবারিক আর্থিক সমস্যার জেরে আত্মঘাতী হলেন আরও এক যুবক। লকডাউনের সময় থেকে কর্মহীন ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। শুক্রবার মাঝরাতে ট্রেনের ফাঁকা কামরায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক।
আরও পড়ুন-রাত ১২টায় থানায় ঢুকিয়ে মাফিয়াদের জমি দিয়ে দিতে চাপ আইসি-র, প্রকাশ্য রাস্তায় গলায় ফাঁস প্রৌঢ়র
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। শুক্রবার গভীর রাতে বারুইপুর রেস স্টেশনে ট্রেনের ফাঁকা কামরা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। রেল পুলিশ ও বারুইপুর থানা যৌথ উদ্যোগে হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, বারুইপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বছর পঁয়ত্রিশের চিরঞ্জীত তাঁতি। এদিন গভীর রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গলায় দড়ি দিয়ে চিরঞ্জিত আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন-তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ সভায় বোমা-বৃষ্টি, উত্তপ্ত পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়
আরও পড়ুন-বর্ধমানের পাত্র-পাত্রী ভিনদেশি, ভার্চুয়াল বিয়েতে দুই বাংলার আজব মিশেল
কী কারণে আত্মঘাতী যুবক?
পরিবার সূত্রে খবর, হোটেলে রাঁধুনির কাজ করতেন চিরঞ্জিত তাঁতি। করোনার থাবায় লকডাউন শুরু হতেই কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন। বাজারে বেশ কয়েকজনের কাছে লক্ষাধিক টাকা ধার ছিল বলে দাবি। কাজ হারানোর পরেও পাওনাদাররা তাঁর কাছে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেজন্য তিনি তাঁর দাদার কাছে ৫০ হাজার টাকা সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি দাদার কাছেও কোনও সাহায্য পাননি। কোথাও কাজ না পেয়ে মানসিক অবস্থায় তিনি ভুগছিলেন বলে দাবি। শেষমেষ, শুক্রবার মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে ট্রেনের কামরায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে চিরঞ্জিত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।