অপরাধ যে কোনও বয়স ও পেশার মানুষই করতে পারেন। সল্টলেকে তেমনই একটি ঘটনা দেখা গিয়েছে। পুরো ঘটনার কথা জানলে যে কেউ হতবাক হয়ে যাবেন।
সল্টলেকে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ৮৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যদুনাথ মিশ্র নামে এই ব্যক্তি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ। সল্টলেকের জি সি ব্লকের বাড়ি থেকে যদুনাথের স্ত্রী মন্দিরা মিত্রর (৭৩) দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপ রয়েছে। স্ত্রীর দেহের পাশেই সংজ্ঞাহীনভাবে পড়ে ছিলেন যদুনাথ। পুলিশ এই ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে খুন ও আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবেই দেখছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বৃদ্ধ কী কারণে এরকম ঘটনা ঘটালেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
শৌচাগার থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার দেহ
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শৌচাগারে বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে ছিল। তাঁর স্বামীর সংজ্ঞাহীন দেহ পাওয়া যায় একটি চেয়ারে। পরে জানা যায়, তিনি অ্যাসিড পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর দেহেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, নিজেই এই ক্ষতচিহ্ন তৈরি করেছেন এই বৃদ্ধ। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ ও আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাজের লোকের মাধ্যমে অপরাধের ঘটনা আবিষ্কার
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই দম্পতি রোজ সকালে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে কাজের লোকের জন্য দরজা খুলে দিতেন। কিন্তু এদিন ডেকেও সাড়া না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান তাঁদের বাড়ির কাজের লোক। তিনি বৃদ্ধকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। পাশের বাড়িতেই থাকেন বিধাননগরের কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার। তিনিই পুলিশে খবর দেন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাংলা ও ইংরাজিতে অপরাধের কথা স্বীকার করে লিখে রাখেন এই বৃদ্ধ। সেই লেখা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Child Murder Case: সমকামী সম্পর্কে বাধা, আট বছরের ছেলেকে খুন করল মা !