ফলাফল বেরোনোর দিনই খুন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ফের একবার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। উপনির্বাচনে জয়ের দিন, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তাঁর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
উপনির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর দিনই খুন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ফের একবার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। উপনির্বাচনে জয়ের দিন, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তাঁর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
সেই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে কার্যত এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। তাতেই মৃত্যু হয় সেই তৃণমূল নেতার। সেইসঙ্গে, গুরুতর জখম হয়েছেন দলের আরও এক নেতা। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ, ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন দুই তৃণমূল নেতা বাপি রায় এবং মহম্মদ সাজ্জাদ। সেইসময়, নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন তারা। সঙ্গে কয়েকজন দলীয় কর্মীও ছিলেন সেখানে। সেইসময় হটাৎই ৯-১০ জনের একটি দল ঘিরে ধরে তাদের। এরপর গুলি চালায় ঐ দুই তৃণমূল (TMC) নেতার ওপর। বাপি এবং সাজ্জাদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি জানান, “দুজন দাঁড়িয়ে তখন কথা বলছিল। সেই সময় হটাৎ ৯ থেকে ১০ জন এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় তাদের ওপর। বাপির গলায় গুলি লেগেছিল।” দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাজ্জাদের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা। তিনি বলেন যে, “ঠিক কী কারণে এই হামলা হল, তা তদন্ত করে আমরা দেখছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ
উপনির্বাচনে দাপট দেখাল ঘাসফুল শিবির, জয়ের পর বড় বার্তা দিলেন মমতা
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।