ফের রাজ্যের বুকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ।
ফের রাজ্যের বুকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ। এবার খোদ পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হল।
প্রাতঃভ্রমণকারীরাই প্রথম তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপর পরিচয় লোপাট করতেই অ্যাসিড ঢেলে কিংবা আগুন জ্বালিয়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ সামনে আসছে।
ওই এলাকায় তরুণীকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্যত্র থেকে আনা দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে, তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কার্যত, তুলকালাম পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক মহিলার কথায়, লক্ষ্মীপুজো থাকায় বাড়িতে কাজ করছিলেন তিনি। সেইসময় প্রাতঃভ্রমণকারীরা দেখতে পান একজন তরুণীর দেহ পড়ে রয়েছে। তরুণীর দেহটি যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে পুলিশ সুপারের অফিসের দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার।
তাছাড়া সেটি একটি একটি দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া এলাকা। ফলে, এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তারপরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেখেন এক তরুণী বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর মুখ পুড়িয়ে রীতিমতো দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তরুণীর বয়স ২০-২১ বছর হবে।
তাঁর দেহ উদ্ধারের সময় পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। কিছুটা ছিঁড়ে গেছে। আবার কিছু অংশ পুড়েও গেছিল। মুখ যেহেতু পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই কিছুই আর চেনা যাচ্ছে না।
তরুণীর পরিচয় জানা বেশ কঠিন। ওই তরুণী এলাকার নাকি বহিরাগত, সেই তথ্য জোগাড় করতেও তদন্তকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে এলাকার নিরাপত্তা। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে হত্যা, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। কৃষ্ণনগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিতকুমার মাকোয়ান জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেছে। তবে এখনও দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।