
Murshidabad crime News: গত ১১ এপ্রিলের পর থেকে ওয়াকফ ইস্যুতে দফায় দফায় অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও এই জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি-গণ্ডগোল রুখতে অব্যাহত রয়েছে সেনার টহল। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলের খুনের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুপ্রতীম সরকার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার বাবা-ছেলে খুনে মূল অপরাধী। ধৃতের নাম ইনজামুল হক। সুতি থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বাবা-ছেলে খুনে মাস্টার মাইন্ড ছিলো এই ইনজামুল হক।
শুধু তাই নয়, ঠিক কাদের উসকানিতে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad crime News) গণ্ডগোল পাকানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে সিট গঠন করা হয়েছে। বুধবার সামশেরগঞ্জ থানায় প্রথম বৈঠক সারে এই তদন্তকারী দল। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকার। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিটের ৯ সদস্য।
আরও জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে সিটের সদস্যরা জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে যান (Murshidabad crime News)। সঙ্গে ছিলো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। এরপর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি সুপ্রতীম সরকার বলেন যে, ''বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কালু, দিলদারকে আগেই গ্রেফতা হয়। সিট ইনজামুল হককে সুতির সুলিপাড়া থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। খুনের ঘটনার পর এলাকায় বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা এবং বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল সে। যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলকেই ধরা হবে। কেউ রেহাই পাবে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে রাজ্য পুলিশ।'' উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ২৭৪ জন।
এই বিষয়ে এডিজি আরও জানান, বর্তমানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি (Murshidabad crime News) অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে এই জেলার বাসিন্দারা। ৭০ শতাংশ দোকানপাট খুলে গিয়েছে। যারা অশান্তির কারণে ঘর ছেড়েছেন তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে দ্রুত তাদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন এডিজি সুপ্রতীম সরকার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।