১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই দায়িত্ব সামলে আসছেন।
জল্পনার অবসান, শেষ পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। লোকসভা ভোটে রাজ্যে ভরাডুবি, বহরমপুরে হার- সবমিলিয়ে দলের মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ছিল অধীর চৌধুরীর। তিনি আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছিলেন অধীর। দলের হাইকম্যান্ডের কাছেও সোই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে সেই সময় রাজি হয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন প্রদেস কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। যদিও তাঁর যুক্তি , তিনি অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন। দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই দায়িত্ব সামলে আসছেন। আধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আগে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। বহরমপুরের ২৫ বছরের সাংসদ তিনি। নিজের কেন্দ্রে অধীরের পরিচিতি ছিল অনেকটা রবিন হুডের মত। এবার তিনি হেরে যান তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে। মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী হিসেবেই পরিচিত অধীর চৌধুরী।
রাজ্য রাজনীতিতে স্পষ্ট অধীরের কারণে এবার লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস - তৃণমূলের জোট হয়নি। ভোটে রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। বর্তমানে কংগ্রেস আর তৃণমূল কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আর পি চিদাম্বরমের বৈঠকও হয়েছে। তারপরের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে জানিয়েছেন। যাতে অনেকটাই স্পষ্ট হচ্ছে আগামী দিনে আরও কাছে আসবে তৃণমূল আর কংগ্রেস।
সরকারি কর্মীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করুন, মমতার নির্দেশে এপ্রিলের অতিরিক্ত ডিএ জুনে দিচ্ছে নবান্ন
যদিও অধীরের ইস্তফা নিয়ে দিল্লির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু বলা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেছেন, 'মল্লিকার্জুন খাড়গে সভাপতি হওয়ার পরে নতুন করে কোথাও কোনও প্রদেশ সভাপতি নিয়োগ হয়নি। ফলে আমিও আস্থয়ী সভাপতি ছিলাম।' অধীরের ছাড়া পদে বসতে পারেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি অধীরের মত মমতা বিরোধী নন। তবে দৌড়ে রয়েছেন রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ মালদা দক্ষিণের ইশা খান চৌধুরী।