সংক্ষিপ্ত

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য উত্তপ্ত বলে দাবি বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের দাবি রাজ্যে একাধিক এলাকায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের দলের নেতা ও কর্মীরা।

 

বঙ্গ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নন্দীগ্রাম। এবার সেই নন্দীগ্রেমের বিজেপি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সবথেকে ব়় পদক্ষেপ নিল। সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করল। ১৪ মে থেকে ১ জুন- মাত্র দুই সপ্তাহে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মাত্র ১৫টি দিনে রাজ্যের একটি মাত্র থানায় এতগুলি এফআইআর কী করে দায়ের করা হয়েছে - নন্দীগ্রাম পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, প্রায় সবকটি মামলায়ই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করেছে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হেনস্থা করতেই পুলিশ এটা করেছে। শুক্রবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী ২৬ জুন।

CPIM: ভোটবাক্সে সিপিএম শূন্য- সেলিমের ওপর আসা চাপ সামলাতে ব্যাট ধরছেন সূর্য

Monsoon News: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে? টানা ২০ দিন ইসমালপুরে থমকে থাকার পরে বৃহস্পতিবার গতি পেল মৌসুমি বায়ু

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য উত্তপ্ত বলে দাবি বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের দাবি রাজ্যে একাধিক এলাকায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের দলের নেতা ও কর্মীরা। প্রতিবাদ জানাতে ও অভিযোগ জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিল রাজ্যের আক্রান্তরাও। প্রথম দিকে তাদের রাজভবনে ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজভবনে ঢোকার অনুমতি পান শুভেন্দুরা। সেই অমৃতা সিনহাই এবার নন্দীগ্রামের বিজেপিকে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।

সরকারি কর্মীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করুন, মমতার নির্দেশে এপ্রিলের অতিরিক্ত ডিএ জুনে দিচ্ছে নবান্ন

এর আগেও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। থানার ভিতর ঢুকে তিনি পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ তুলেছিলেন। থানার বাইরে সেই সময় মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই নন্দীগ্রাম - যা শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র বা শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত সেখানেই মাত্র ১৫ দিনে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারই পাল্টা চাল হিসেবে বিজেপি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থা হয়েছে।