২৬ এপ্রিল, বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট জামিনের মামলার শুনানির দিন ১ মাস এগিয়ে আনল।
গরু পাচার মামলায় তাঁর জামিনের জন্য দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আবেদনে এবার রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট। স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো নয়, এই মর্মে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছিলেন যাতে অবিলম্বে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এর আগে ৭ জুলাই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বুধবার ২৬ এপ্রিল, দিল্লি হাইকোর্ট সেই মামলার শুনানির দিন ১ মাস এগিয়ে আনল। শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১ জুন। ওই দিন বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার এজলাসে অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্ন স্বাস্থ্যের প্রেক্ষিতে করা জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।
এর আগেও দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী মণীশ জৈন। সেই ক্ষেত্রে ইডি পর্যাপ্ত নথি জমা দিচ্ছে না এবং অযথা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে সেই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের যুক্তি শুনে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার অনুব্রত মণ্ডলের খারাপ স্বাস্থ্য তাঁকে তিহাড় জেল থেকে মুক্ত করতে পারে কি না, সেটাই অপেক্ষার। তবে, তার আগে আরও অন্তত একমাস তিহাড়ই তাঁর ঠিকানা।
সপ্তাহখানেক আগেই শ্বাসকষ্টের জন্য ফের অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন জেলবন্দি তৃণমূল নেতা। আদালতে আসলে এখন হুইল চেয়ারে বসেই আসতে হয় তাঁকে। প্রায় মাস দুই ধরে তিহাড় জেলে থাকতে থাকতে মানসিক ভাবেও বেশ বিধ্বস্ত তিনি। উচ্চ আদালতে বারবার মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় ইদানিং বেশ মনমরা হয়ে আছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই জানান, ‘শরীর ভালো নেই’। শারীরিক কারণে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করার পাশাপাশি, তিহাড় জেল থেকে সরিয়ে তাঁকে আসানসোল কারাগারে রেখে তদন্ত করার আবেদনও করেছেন অনুব্রত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে হোক নিজ জেলায় ফিরতে চাইছেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন-
Sukanya Mondal Arrested: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল