বোলপুর ও রামপুরহাটে অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছো দোকানপাট। স্থানীয়রা শুরু করেছে বিক্ষোভ।
কৃষ্ণনগরের এবার অনুব্রতর গড় হিসেবে বীরভূমেও বুলডোজারের দাপট। সরকারি জমি থেকে বেআইনি দখলদারদের সরাতে বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে দোকানপাট। যা নিয়ে রীতিমত বিক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কী করেও বুলডোজার দিয়ে দোকানপাট ভাঙা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছো দোকানপাট।
বোলপুরের চিত্রা মোড় এলাকায় ফুটপাথে পরপর দোকান রয়েছে। সেগুলি ভেঙে ফেলা হচ্চে বুলডোজার দিয়ে । অভিযান চলছে বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে। রয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা ও কর্মীরাও। প্রায় একই ছবি দেখা গেছে রামপুরহাট পুরসভাতেও। সেখানেও বুলডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফুটপাথের দোকানপাট। যা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
চিত্রা মোড়ে শুক্রবারও উচ্ছেদ অভিযান করেছিল পুরসভা। কিন্তু গতকালও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেই সময় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, তারা বিকল্প ব্যবস্থা না করে এলাকা ছাড়বে না। বিকল্প ব্যবস্থা করেই তারা উঠে যাবে। কিন্তু তারপরেও কেন উচ্ছেদ অভিযান চলাচ্ছে পুরসভা। যদিও বোলপুর পুরসভা থেকে চিত্রামোড়ের ব্যবসায়ীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানের আসল কাগজ দেখাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ কাগজ দেখাতে পারেনি বলেই শুক্রবারের পর আবার শনিবার নতুন করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অন্যদিকে রামপুরহাট পুরসভার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, শুক্রবারই উচ্ছেদ হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে আদ সকাল থেকেই অভিযান শুরু করা হয়েছে। পাল্টা সেখানে পথে নেমেছেন দোকানিরা। পরিবারের সদস্যদের নিয়েই তারা বিক্ষোভ শুরু করেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখনে এক মাস সময় দিয়েছিলেন বিকল্প স্থান বা পেশার জন্য- সেখানে কেন তড়িঘড়ি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর হঠকারী সিদ্ধান্তে তাদের রুডিরুটি পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের আরও অভিযোগ রাত ৯টার সময় মাইকিং করা হয়েছে। তারপরই দোকানভাঙা শুরু হয়েছে। তাদের দাবি তারা কার কথা বিশ্বাস করবে- মুখ্যমন্ত্রী না , স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের।