বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারের রূপপুর এলাকায় একটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস রয়েছে। সেটি এলাকায় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বলেও পরিচিত।
আবার উত্তাল বীরভূমের রাজনীতি। জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল। এবার তাঁর লড়াই সরাসরি রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার সঙ্গে। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহা। তারই পার্টি অফিসের দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল কেষ্টবাহিনীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দিনভরই উত্তাল জেলার রাজনীতি।
বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারের রূপপুর এলাকায় একটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস রয়েছে। সেটি এলাকায় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বলেও পরিচিত। চন্দ্রনাথ সিনহা এই এলাকায় বাসিন্দা। তাঁর আধিপত্য এই এলাকায়। পার্টি অফিসটি চালাতেন চন্দ্রনাথের ঘনিষ্ট বাবু দাস। বৃহস্পতিবার সেই পার্টি অফিসটির দখল নেন তৃণমূলের অনুগামীরা।
দলীয় সূত্রের খবর, পার্টি অফিস দখল নেওয়ার পর সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি আর পোস্টার লগিয়ে দেয়। দলের পতাকাও লাগান হয়েছে। ওঅ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে পুলিশ বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা পুলিশও। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ১৫ বছর ধরেই এটি তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিল। কয়েক দিন বাবু দাস এই পার্টি অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। আজ তারা সেই পার্টি অফিসের দখল নিলেন। অনুব্রত ময়ণ্ডলের ছবিও সেই কারণে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও চন্দ্রনাথের অনুগামীরা জানিয়েছেন, পার্টি অফিস তৃণমূলের। কিন্তু মন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কেষ্টর অনুগামীরা এই কাজ করেছে। এই পার্টি অফিস সকল তৃণমূল কর্মীদের।
তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থানীয় রোজিনা খাতুনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয়েছিল। মাস কয়েক ধরেই বন্ধ ছিল সেটি। রোজিনা বলেন, এটা তাঁদের বাড়ি। বাবু দাস পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন থেকে বলেছেন, কারো বাড়িতে পর্টি অফিস করা যাবে না সেই দিন থেকেই পার্টি অফিস বন্ধ । তিনি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথাই তুলে ধরেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।