
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আসন। সেই হিসেবে বিজেপি শতাধিক বিধানসভা আসনে এগিয়েছিল। যার ফলে, একুশের ভোটে রাজ্যের বিরোধীদল যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে মাঠে নেমেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ফলাফল হয়ে যায় উল্টো। কারণ, সেক্ষেত্রে বিজেপির ভোট ২ শতাংশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিধানসভায় তারা মাত্র ৭৭ টি আসন জিতেছিল।
এদিকে, এবারে লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালের তুলনায় ৬টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মাত্র দু’টি লোকসভা আসনে এবার ৭ টি বিধানসভার ৭ টিতেই জিততে সক্ষম হয়েছে। সেই দুটি লোকসভা আসন হল তমলুক ও আলিপুরদুয়ার। এদিকে, দার্জিলিং লোকসভার ক্ষেত্রে ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৬ টিতে জিতেছে তারা। এদিকে, রানাঘাট ও বনগাঁতেও ৬ টি করে বিধানসভায় বিজেপি লিড পেয়েছে।
যদিও, এটা ঠিক যে, বাংলায় গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিজেপির ভোট শতাংশ কমলেও বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে এই পরিসংখ্যান সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি, ২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে বিজেপি বঙ্গে ভোট পেয়েছিল ৩৮.১৫ শতাংশ। যেটি এবার লোকসভা ভোটে বেড়ে হয়েছে ৩৮.৭৩ শতাংশ।
বিজেপির সামগ্রিক পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের নেতৃত্বদের একাংশ মনে করছে বাম-কংগ্রেস তৃণমূলের ভোট কিছুটা কেটে নেওয়ায় তার সুবিধা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। ভোটের সামগ্রিক রেজাল্টের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে যে রাজ্যের ৯০ টি বিধানসভায় লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
তাই মনে করা হচ্ছে ফলাফলের দিক থেকে ভরাডুবি ঘটলেও এবার রাজ্যের বিরোধী দল পেয়েছে সান্ত্বনা পুরস্কার। বর্তমানে, রাজ্যে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা হল ৭৬। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল ৭৭টি আসন। কিন্তু, ধূপগুড়ির উপ-নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় সেই সংখ্যা ১টি কমেছে। কিন্তু বিধানসভায় বর্তমানে তাদের যা শক্তি (৭৬) সেই তুলনায় ১৪টি বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল। এদিকে, এই লিড বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাল্টেছে। অর্থাৎ, কোথাও কোথাও এই লিডের পরিমাণ তৃণমূল অথবা বাম-কংগ্রেস থেকে অনেকটাই বেশি রয়েছে। আবার কোথাও, এর ব্যবধান এক্কেবারে কম রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।