
সালটা ছিল ২০২১। ভোটে জিততে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দল বদল করিয়েছিল বিজেপি। সেটা ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র জমানা। তবে ভোটে জিততে এবার সম্পূর্ণ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল বিজেপি। এবার ভোটে জিততে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার সাংগঠনিক শক্তি। কখনই দলবদল নয়।
২০২১ সালে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস ঘাসফুল শিবির ছেড়ে নাম লিখিয়েছিল পদ্ম শিবিরে। একসঙ্গে পাঁচ জন নেতাকে বাংলা থেকে দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চাটার্ড ফ্লাইটে। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিল শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের মুখেই দল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, সোনালি গুহ-সহ একাধিক নেতা। কিন্তু তারা ভোটের বাজারে তেমন সাফল্য আনতে পারেননি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের এত নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেও ২০২১ সালে সাফল্য় অধরাই থেকে গিয়েছে। তাই এবার অন্য পথে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে খবর এবার আর দল বদলে জোর নয়। এবার সাংগঠনিক শক্তির ওপর ভিত্তি করেই লড়াই করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এবার সঞ্জয় বনসলের জমানা। ইতিমধ্যেই দলের সংগঠনের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর বিজেপি নেতা সঞ্জয় বনসল জানিয়েছেন, যদি কেউ এখন বা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিতে চায় তাহলে তাঁকে স্বাগত। কিন্তু এই দলবদল ভোটের বুথ বা মণ্ডল স্তরেই সেই বিষয়টা সেরে নিতে হবে। সকলকে রাজ্য দফতরে নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন।
বিজেপির নতুন নীতি যারা বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার শর্তে যারা দলবদল করতে চাইছে তাদের নিয়ে বেশি আগ্রহ না দেখানোই শ্রেয়। বিজেপির নতুন নীতি অনুযায়ী টিকিটের আশ্বাস দিয়ে দলবদলুদের গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যারা নিঃশর্তে বিজজেপিতে যোগ দিতে চাইবে তাদের বিষয়েই আগ্রহ দেখানো জরুরি। বিজেপি সূত্রের খবর, ভোটে জিততে এবার বিজেপি শুধুমাত্র সংগঠনের ওপর ভিত্তি করেই জয় পেতে চাইছে। আর সেই কারণে দলের নেতাদের নিয়ে বারবার বৈঠকের বসছেন সুনীল বনশল, বিপ্লব দেবরা। থাকছেন রাজ্য স্তরের নেতারাও।