দোলের দিন থেকেই জোর কদমে প্রচার শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বর্ধমান দুর্গাপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা শুরু করেন বিজয় সংকল্প পুজো দিয়ে। শিব পুজো করেন।
রবিবার রাতে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের। তবে তাঁর নিজের চেনা গণ্ডী মেদিনীপুরের প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। বরং কিছুটা কঠিন আসনই তাঁর জন্য বরাদ্দ করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের ক্রিকেটার প্রার্থী কীর্তি আজাদ। অন্যদিকে বামেদের প্রার্থী সুকৃতী ঘোষ। যিনি শিক্ষাবিদ। অচেনা ভূমিতে কঠিন প্রতিপক্ষ দিলীপের সামনে। যদিও তিনি তা মানতে নারাজ।
দোলের দিন থেকেই জোর কদমে প্রচার শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বর্ধমান দুর্গাপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা শুরু করেন বিজয় সংকল্প পুজো দিয়ে। শিব পুজো করেন। তারপরই শ্রদ্ধা জানান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে। পৌঁছে যান বর্ধমানে শক্তিগড়ে। পাশাপাশি উড়া গ্রামে বজরংবলী মহোৎসবে অংশ নেন। যা জনসংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তবে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রকে তিনি অচেনা বলে মানতে নারাজ। তাঁর কথায় গোটা বাংলাই তাঁর এলাকা। যেখানেই তিনি যাবেন , সেখানেই তিনি জেতার চেষ্টা করবেন। যদিও দিলীপের ঘনিষ্টদের কথায় আরএসএস-এর প্রচারক থাকার সময় অখণ্ড বর্ধমান জেলার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই তিনি বর্ধমান জেলাকে নিজের হাতের তালুর মতই চিনতেন। যা কাজে লাগবে এই নির্বাচনে।
যাইহোক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই দিলীপ ঘোষ নিজের কেন্দ্র জমি শক্ত করার কাজে লেগে পড়েছেন। তিনি অবশ্য পরিচিত সকলেই আর শুভ দোলযাত্রা বলছেন না। বলছেন শুভ বিজয় যাত্রা। তিনি ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন, দোল যাত্রা তাঁর কাছে বিজয় যাত্রার সামিল। সেই কারণেই তিনি এই কথা বলেছেন। পাশাপাশি ঘনিষ্ট মহলে দিলীপ জানিয়েছেন, জয়ের জন্য তিনি সংকল্প বদ্ধ।