বীরভূমে সফল বায়রন মডেল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতে প্রার্থীর দ্রুত দলবদল। যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বললেন মমতার উন্নয়নের শরিক হতে চান।
কুণাল ঘোষের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হতে চলেছে। বীরভূমে দেখা গেল বায়রন মডেলের সফর উদাহরণ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত ভোটে জিতলেন বিজেপির প্রার্থী। কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের বিজয় উল্লাসের সময় পর্যন্ত দিলেন না। তারই আগে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তুলে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলী পতাকা। বিজেপি প্রার্থী লক্ষী মুর্মু। তিনি বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ ছিল না। তাই ভোটের আগেই জয় লাভ করেন তিনি। কিন্তু বিজেপির জন এই জয় কোনও সুখরর অনুভূতি হয়। রীতিমত অস্বস্তিকর।
সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির জন্য মনোনয়ন দাখিল করে বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিআই(এম) প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। তাই লড়াই হয় বিজেপি আর সিপিএম-এর মধ্যে। কিন্তু মঙ্গলবার শেষমুহূর্তে সিপিএম প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতে যায় বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু জয়লাভের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোলবদল করে ফেলেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যান্য দলবদলুদের মত তিনিও ঘাসফুল পতাকা হাতে নিয়ে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হওয়ার জন্যই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন নিজের ইচ্ছেতেই তিনি দল বদল করছেন। তাঁকে কেউ জোর করেনি বা হুমকি দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্সেস নেতার উপস্থিতিতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন লক্ষী মুর্মু। বিজেপি প্রার্থীর দল বদলের কারণে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ৭টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
কুণাল ঘোষের বায়রন মডেলঃ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বায়রন মডেলের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'অন্য প্রতীকে জিতলে বায়রন বিশ্বাসের অনুভূতি সংক্রমিত হবে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে বড় কথা বললেন কুণাল ঘোষ। এখানেই অবশ্য শেষ নয়, কুণাল বলেন, 'অন্য চিহ্নে ভোট দিলে পঞ্চতায়েত ভোটের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে আসবে। তাহলে আর অহেতুক কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন?' কুণাল রাজ্যের সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যদের প্রতীকে জেতেন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন কেন্দ্র সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার দজন্য জনমুখী প্রকল্প চালু করছে। আর এটা বুঝতে পেরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাকি ভোটের পরে তৃণমূলে যোগদান করবেন। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন অন্য প্রতীকে ভোট দিয়ে কী লাভ।
আরও পড়ুনঃ
Odisha train accident: বাহানাগা স্টেশনের কোনও কর্মী পালিয়ে যাননি, আশ্বস্ত করলেন রেলকর্তা
পঞ্চায়েতে 'বায়রন মডেল'-এ আস্থা তৃণমূলের? ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে বড় ইঙ্গিত কুণালের