সংক্ষিপ্ত
অন্য প্রতীকে জিতলে বায়রন বিশ্বাসের অনুভূতি সংক্রমিত হবে। বায়রন বিশ্বাস মডেল নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন কুণাল ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দল। বলা যেতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনই এখন ফোকাস কংগ্রেস, তৃণমূল বিজেপি ও বামেদের। এই অবস্থায় শনিবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে রীতিমত বিস্ফোরক তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বায়রন বিশ্বাস মডেলের কথা তুলে ধরেন। যা ভোটের আগে বিরোধী শিবিরের কাছে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতপূর্ণ বলেও মনে করেন।
কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'অন্য প্রতীকে জিতলে বায়রন বিশ্বাসের অনুভূতি সংক্রমিত হবে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে বড় কথা বললেন কুণাল ঘোষ। এখানেই অবশ্য শেষ নয়, কুণাল বলেন, 'অন্য চিহ্নে ভোট দিলে পঞ্চতায়েত ভোটের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে আসবে। তাহলে আর অহেতুক কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন?' কুণাল রাজ্যের সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তবে এদিন দল বদলের কারণ প্রসঙ্গেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যদের প্রতীকে জেতেন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন কেন্দ্র সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার দজন্য জনমুখী প্রকল্প চালু করছে। আর এটা বুঝতে পেরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাকি ভোটের পরে তৃণমূলে যোগদান করবেন। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন অন্য প্রতীকে ভোট দিয়ে কী লাভ।
কুণালের এই মন্তব্যের পরই বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস বায়রন বিশ্বাস মডেলেই আস্থা রাখছে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেই জিতুক তারপর দলবদলই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে।
যাইহোক সম্প্রতি কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক হিসেবে জিতে আসা বায়রক বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তাঁর এই দলবদল। যদিও এই দলবদলের বিষয়ে নাকি বিন্দুমাত্র অবগত ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই জানিয়েছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। যাইহোক জয়ের মাত্র তিন মাস পরেই বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। যা নিয়ে বিরোধী শিবির রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
শুধু রাজ্য রাজনীতি নয়, আঁচ পড়েছিল জাতীয় রাজনীতিতেও। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'বায়রন বিশ্বাস ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী। কিন্তু তাঁর নির্বাচিত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রলুব্ধ করেছে। সাগরদিঘির মানুষের রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।' গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যে এর আগে ঘটে যাওয়া এই ধরনের চোরা শিকার বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এই কাজের একমাত্র উদ্দেশ্যই হল বিজেপির হাত শক্ত করা।
আরও পড়ুনঃ
অনুব্রত মণ্ডল বিহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন বীরভূমে, কেষ্টর - ক্যারিশ্মা বাদে কতটা সফল হবে তৃণমূল কংগ্রেস
বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ থাকবে তো? কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের পরই উঠছে প্রশ্ন
'আমি এসব জানি না, স্থানীয় ব্যাপার'- বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে মন্তব্য মমতার
আরও পড়ুনঃ