Panchayat Election: জেলা প্রতি ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন

এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ১০০-১০৫ জন সদস্য থাকে। তাদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ৮০ জনকে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ একএকটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাত্র ৮০ জন সদস্যই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের প্রথম খবর ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রতি জেলার জন্য কমপক্ষে ২ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হবে কেন্দ্রের কাছ থেকে। কিন্তু তাও নয়। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই মত ২২টি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে বলেই কমিশন থেকে পাওয়া সর্বশেষ খবর। সূত্রের খবর ইতিমধ্যই কমিশন মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে।

এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ১০০-১০৫ জন সদস্য থাকে। তাদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ৮০ জনকে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ একএকটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাত্র ৮০ জন সদস্যই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। তাই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরথেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই সামান্য সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করে জেলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কারণ মনোনয়ন পর্ব ঘেরেই রাজ্য অশান্তি শুরু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারেরজন্য হুমকির অভিযোগ উঠছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

Latest Videos

আগেই অর্থাৎ সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর সেক্ষেত্রে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিশে তৎপরতা ধরা পড়ে।

কলকাতা হাইকোর্টের শনিবারের রায় অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের সবকটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েত করতে হত। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন রায় মানেনি। পাল্টার রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু এবার সেখানেও ধাক্কা খাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে কমিশন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যকে হাইকোর্টের রাই মানতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের ২২টি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বিচারপতি নাগারত্না বলেন, “কমিশনের ওপর যখন নিরাপত্তার দায়িত্বই বহাল নেই, তাহলে বাহিনী কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে এত চিন্তা কেন? হাইকোর্ট অবস্থা বুঝেই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের ওপর কোনও সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।” এরপরেই কলকাতা অআদালতে নির্দেশ বহাল রাখার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাই বহাল থাকছে পশ্চিমবঙ্গে। বাহিনীর বিন্যাসের দায়িত্ব রাজ্যের। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশে ঘাটতি থাকার জন্য আগে থেকেই তিন রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari: 'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News