কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এদিন দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে টালবাহানা শেষ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্য নিরার্চন কমিশন নড়েচড়ে বসেছে। সূত্রের খবর মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চিঠি লিখতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কমিশন সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সূত্রের খবর এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা আর পর্যালোচনা সারাও হয়েছে। সূত্রের খবর প্রত্যেক জেলার জন্য ২ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এদিন দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। প্রত্যেক জেলার জন্য কী পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তা নিয়ে যএমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই রাজ্যের হাতে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে , কোথায় কী পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আগেই অর্থাৎ সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর সেক্ষেত্রে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিশে তৎপরতা ধরা পড়ে।
কলকাতা হাইকোর্টের শনিবারের রায় অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের সবকটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েত করতে হত। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন রায় মানেনি। পাল্টার রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু এবার সেখানেও ধাক্কা খাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যকে হাইকোর্টের রাই মানতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের ২২টি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বিচারপতি নাগারত্না বলেন, “কমিশনের ওপর যখন নিরাপত্তার দায়িত্বই বহাল নেই, তাহলে বাহিনী কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে এত চিন্তা কেন? হাইকোর্ট অবস্থা বুঝেই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের ওপর কোনও সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।” এরপরেই কলকাতা অআদালতে নির্দেশ বহাল রাখার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাই বহাল থাকছে পশ্চিমবঙ্গে। বাহিনীর বিন্যাসের দায়িত্ব রাজ্যের। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশে ঘাটতি থাকার জন্য আগে থেকেই তিন রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ
প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাবা - মায়ের পথে হেঁটে মরনোত্তর অঙ্গ ও দেহদানের অঙ্গীকার মুসলিম মেয়ের
PM Visit In USA: প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, এটাই প্রথম মোদীর রাষ্ট্রীয় সফর
ভোট ঘিরে কেন বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি? বাম আমলের সন্ত্রাসের ছায়া বর্তমান তৃণমূল জমানাতেও