মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসু জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল অনুশ্রী ঘোষ চৌধুরী পালাসীপাড়া এলাকায় একটি দোকান করবেন বলে জমিটি কিনেছিলেন।
জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই মামলা পৌঁছেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সেখানেই বড় রায় দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি জমিতে নির্মাণ কাজের অনুমতি কে দিয়েছিল তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ জুলাই।
মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসু জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল অনুশ্রী ঘোষ চৌধুরী পালাসীপাড়া এলাকায় একটি দোকান করবেন বলে জমিটি কিনেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে সেটি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে। অভিযোগ সেখানে তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। কিন্তু মহিলা তাঁর নিজের জমি ফেরত চাইতে গেলে মহিলার কাছে ২০ লক্ষ টাকা তোলা হিসেবে দাবি করা হয়েছিল। মহিলা জানিয়েছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আর জেলা পরিষদের সদস্যরাই তাঁর থেকে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন।
যদিও আদালতে অভিযুক্তরা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, জমিটি ফাঁকা পড়েছিল তাই সেখানে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছিল। তারপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন জমিতে কে বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছিল। সবমিলিয়ে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী তিন জুলাই। সেই সময়ই আদালতকে জানাতে হবে কে অনুমতি দিয়েছিল। পাশাপাশি ২০ দিনের মধ্যেজমি ফিরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিন জমি সংক্রান্ত ওই মামলার শুনানিতে স্থানীয় বিএলআরওকে (BLRO) মামলাকারীর জমি চিহ্নিত করে ফেরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় কিছুদিন আগেই খাস কলকাতার নিউটাউনে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা তৃণমূলের দপ্তর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।