
ফের শান্তিপুর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা প্রশ্নে সামনে। এবার এক্সপায়ার ডেটের ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়া জেলার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার দাঁতের সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাল পাড়ার বাসিন্দা রাজু ভৌমিক শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসকে দেখানোর পর ওষুধ দেওয়া হয়। যা দেওয়া হয় তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বলে অভিযোগ উঠল । এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। রোগীর বাবাকে দিয়ে বমি পরিষ্কার করানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আলোচনার শীর্ষে শান্তিপুরের এই হাসপাতাল।
সূত্রের খবর, দাঁতের সমস্যায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়ার বাসিন্দা রাজু ভৌমিক। তিনি চিকিৎসার জন্য যান হাসপাতালে। জানা যায়, তাঁর দাঁত পরীক্ষার পর দেওয়া হয় ওষুধ । রাজু সেইমতো ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কেনে। বাড়ি ফিরে দেখতে পান সেগুলো মেয়াদ উত্তীর্ন ওযুধ। তিনি সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে অভিযোগ জানান। এই ঘটনা স্বাস্থ্যদপ্তরে অভিযোগ করবেন বলে জানান রাজু ।এই ঘটনার কথা প্রকাশ পেতেই চিন্তিত হয়ে পড়েন অনান্য রোগী ও তাদের পরিজনেরা।
শুক্রবারই এই হাসপাতালে অসুস্থ পাঁচ বছরের মেয়েকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই বমি করে বাচ্চাটি। বাবাকে দিয়ে মেয়ের বমি পরিষ্কার করানো হয় বলে অভিযোগ। জানা যায়, সাফাইকর্মী নেই,কর্তব্যরত চিকিৎসক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন বাবাকেই পরিষ্কার করতে হবে। এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যদপ্তর। কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটার ইঙ্গিত মিলেছে। এই কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগে শান্তিপুর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার চিত্রটা প্রকাশ্যে এল। পর পর দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সরকারি হাসপাতালে উপর নির্ভর করা মানুষগুলোর এখন এসব দেখ যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছেন।