তমলুকের ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ মা বর্গভীমা মন্দির। পুজোর চার দিন দেবী বর্গভীমা মাকে দুর্গা রূপে পূজা করা হয়। এই চারদিন সাধারণত সকাল ছটায় মন্দির খোলা হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম।
সতীপিঠে প্রথাভঙ্গ! দুর্গা পুজোতে নির্ঘণ্টের পরিবর্তন করে ভোর রাতে ঘুম থেকে তুলে শুরু হবে পুজো। আর এই পুজো দেখতে লাখো ভক্তদের মন্দিরে আসতে হবে রাত থেকে।
প্রথা ভেঙে মা বর্গভীমাকে জাগিয়ে তোলা হবে ভোর রাতে। কারণ ভোর রাত থেকে শুরু হবে অষ্টমীর অঞ্জলি। সাত সকালে সন্ধিপুজো, তার জেরেই এই প্রথা ভঙ্গ।
তমলুকের ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ মা বর্গভীমা মন্দির। পুজোর চার দিন দেবী বর্গভীমা মাকে দুর্গা রূপে পূজা করা হয়। এই চারদিন সাধারণত সকাল ছটায় মন্দির খোলা হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। ভোররাতে মাকে জাগিয়ে শুরু হবে পুজো। সেই কারণে শুধু তমলুক শহর নয় দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা যাতে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে সেই কারণে সারারাত খোলা থাকবে মন্দিরের মুল গেট।
ষষ্ঠীর দিন সকালে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী থেকে বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে রাজবাড়ীর তরোয়াল, অধিবাস সামগ্রী এবং তিনটি পাঁঠা নিয়ে আসা হয়। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর দেওয়া অধিবাস সামগ্রী দিয়ে শুরু হয় মায়ের পুজো। বর্গভীমা মন্দিরের পুরোহিত পুষ্পেন্দু চক্রবর্তী জানিয়েছেন সারা বছর ধরে রাতে মায়ের যেভাবে ভোগ দেওয়া হয় দুর্গা পুজোর কটা দিন রাত্রি সাড়ে আটটার মধ্যে ভোগ নিবেদন করা হবে। তারপরই মাকে বিশ্রাম দিতে হবে। ভোররাতে মায়ের ঘুম ভাঙ্গিয়ে স্নান করিয়ে রাজ বেশে সাজানো হবে। তারপরে মঙ্গল আরতি করে পুজো শুরু হবে। এবারে দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্টের পরিবর্তন হওয়ার ফলে ভক্তদের আসতে হবে রাত থেকে।
মন্দিরে ভক্তের আনাগোনা রাত থেকে হওয়ায় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই আগেভাগেই মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটা জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজী অধিকারী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।