এবার থেকে দুবার করে দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। অর্থাত্ দু'বার অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। উচ্চ মাধ্যমিকে ইতিমধ্যেই সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ায় অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আর বার্ষিক নয়, এবার উচ্চ মাধ্যমিকেও শুরু হতে চলেছে সেমিস্টার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এই পদ্ধতিতেই দিতে হবে পরীক্ষা। তাতে এবার থেকে দুবার করে দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। অর্থাত্ দু'বার অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। উচ্চ মাধ্যমিকে ইতিমধ্যেই সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ায় অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।
উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়মে কী কী বদল এল, জেনে নিন
১। একাদশ শ্রেণির দু'টি সেমিস্টারকে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার বলা হবে। আর দ্বাদশের দু'টি সেমিস্টারকে বলা হবে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার। দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পর তৃতীয় সেমিস্টারের আগেই পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে। সেই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে অন্য স্কুলে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে যাবেন পড়ুয়ারা।
২। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে। একাদশ শ্রেণির দু'টি সিমেস্টার নেবে স্কুল। দ্বাদশ শ্রেণির দু'টি সেমিস্টার নেবে সংসদ। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন শুধু শেষের দু'টি সেমিস্টার থেকেই হবে। একাদশ শ্রেণির সেমিস্টারের ফল গ্রাহ্য করা হবে না।
৩। প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার হবে নভেম্বর মাসে। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার হবে মার্চ মাসে। যে পড়ুয়ারা এ বার মাধ্যমিক দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চলেছে, তাদের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হবে নভেম্বরে। মার্চে হবে দ্বিতীয় সেমিস্টার। দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পর তাদের আবার নভেম্বর মাসে তৃতীয় সেমিস্টার দিতে হবে। চতুর্থ সিমেস্টার হবে মার্চে।
৪। প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা এমসিকিউ প্রশ্নে হবে। প্রথম সেমিস্টার স্কুল নিজের মতো করে নেবে। কিন্তু তৃতীয় সেমিস্টার ওএমআর শিটে হবে। খাতা দেখবে কম্পিউটার। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার হবে বড় প্রশ্নে।
৫। একাদশ ও দ্বাদশ দুই শ্রেণিতেই ১০০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। লিখিত এবং প্রজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যাল ধরেই হবে এই ১০০ নম্বর। বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের যেমন ৭০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। ৩০ নম্বর প্র্যাক্টিক্যালের জন্য বরাদ্দ। যাদের ল্যাবরেটরি নির্ভর পরীক্ষা নেই, তাদের লিখিত পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরে। প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ নম্বর।
৬. প্রথম তিনটি সেমিস্টারের সময়সীমা হবে দেড় ঘণ্টার। চতুর্থ সেমিস্টারের সময় হবে দু'ঘণ্টা।
৭। কোনও পড়ুয়া যদি প্রথম সেমিস্টারে কোনও বিষয়ে শূন্য পায়, তা হলে পরের সেমিস্টারে পাশ নম্বর তুলে আনার সুযোগ থাকবে তার কাছে। একাদশ ও দ্বাদশ দুই শ্রেণির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু সংসদ জানিয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেও কোনও পড়ুয়া যদি প্রজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যালে ফেল করে, তা হলে সেই বিষয়টিতে ওই পড়ুয়াকে ফেল বলেই গণ্য করা হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।