কথায় আছে, বাঙালির পায়ে সর্ষে। সমতল থেকে ঘুরতে যেতে অধিকাংশ মানুষ পাহাড়ই বেছে নিতে পছন্দ করেন। ছোট্ট ছুটিতে কম খরচে কম দূরত্বের পাহাড়ে যাওয়া মানে ব্রিটিশের ছোঁয়া- মাখা দার্জিলিং। দ্বিতীয় নম্বরে আসতে পারে সিকিম।
29
আজকাল অনেকেই অবশ্য ভিড় এড়ানোর জন্য বেছে নিচ্ছেন অফবিট গ্রামগঞ্জ। সেইসব পর্যটকদের জন্য আদর্শ জায়গা হল কালিম্পংয়ের ‘হ্যাপি ভিলেজ’।
39
নভেম্বরে আধো-আলো-ছায়াতে ঢাকা পাহাড়ের আকাশ, যখন তখন নামতে পারে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি, তবে দুশ্চিন্তা নেই। বৃষ্টিতে ভিজলে ‘হ্যাপি ভিলেজ'-এর হ্যাপিনেস বেড়ে যেতে পারে আরও দ্বিগুণ।
49
দার্জিলিং-কালিম্পং থেকে একটু রাস্তা বদল করলেই পৌঁছে যেতে পারবেন পাহাড়ের খড়কা গাঁও। প্রকৃতির সৌন্দর্য আর মনোরম পরিবেশের সঙ্গে এখানে ভরপুর আনন্দ ফ্রি।
59
তবে, নভেম্বরের সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন কিনা, সেটা কিছুটা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ এই সময়টা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকারই মরসুম। খড়কা গাঁও হল, কালিম্পংয়ের একটা সুন্দর আর কিছুটা অপরিচিত গ্রাম।
69
নিউ জলপাইগুড়ি, অর্থাৎ, এনজেপি স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করলেই সোজা গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। পথে যেতে যেতে মেলি বাজারের কাছে গাড়ি থামাতে পারেন।
79
এখান থেকে তিস্তা নদীর যে শোভা দেখতে পাবেন, তার জন্য বলতেই পারেন ‘জন্ম-জন্মান্তরেও ভুলিব না!’ এছাড়া, গরম ধোঁয়া ওঠা মোমোও নিশ্চয়ই আপনি মিস করতে চাইবেন না।
89
এই গ্রামের রাস্তা বেশ মনোরম, দু'পাশে পাইন, বার্চ গাছের সারি দাঁড়িয়ে থাকে। আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট অনেক ঝর্ণা। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে গেলে প্রচুর কমলালেবুর চাষ দেখতে পাবেন। চেষ্টা করবেন, হোটেলের ঘরটি আগে থেকে বুকিং করে তারপর আসার।
99
এই গ্রামে অনেকগুলি হোমস্টে আছে। এখান থেকে খুব কাছেই আছে মানেদারা ভিউ পয়েন্ট, আর পঞ্চমী ফলস। এছাড়াও, এখন থেকে ডেলো, লাভা লোলেগাঁও, রিশপ ঘুরে আসতে পারেন। এনজেপি থেকে এই গ্রামের পথ মাত্র তিন ঘন্টার। তাই, হিমেল মরসুমে বেশি চিন্তা না করে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন হ্যাপি ভিলেজের ঠিকানায়। মন ‘হ্যাপি’ হবেই।