
Nadia Tmc News: স্বজল ধারা প্রকল্পের জলের পাইপে সিমেন্ট ও খোয়া মাখিয়ে জ্যাম করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। এ যেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল নদীয়া জেলার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।
জানা গিয়েছে, ওপেন টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ঝামেলা প্রকাশ্যে। সূত্রের খবর, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে 'স্বজল ধারা প্রকল্পের' কাজের ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের স্বামী দেব প্রসাদ বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর নামে টেন্ডারের আবেদন করেন।
বর্তমানে তার স্ত্রী ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল সদস্য। তবে সেই স্বজল ধারা প্রকল্পের টেন্ডার পাইনি হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বিনোদ ঘোষ। বর্তমানে এই স্বজল ধারা প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে।
কয়েকদিন আগেই হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হবিবপুর হাসপাতাল পাড়াতেই একটি স্বজল ধরা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই স্বজল ধারা প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই জল তোলার পাইপের ভিতরে রাতের অন্ধকারে সিমেন্ট এবং খোয়া মাখিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার অভিযোগের তির বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনার একটি কথপকথনের ফোন রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই কল রেকর্ডিং যাচাই করেনি Asianet News Bangla।
সেখানে স্পষ্টত বর্তমান প্রধানের স্বামী ও তার এক বন্ধু জানাচ্ছেন যে, 'দেবপ্রসাদ অরফে দেবু যেখানে যেখানে টেন্ডার পেয়েছে সেই কাজ শুরু হলেই পাইপ এর মধ্যে সিমেন্ট ও খোয়া মিশিয়ে তা জ্যাম করে দেওয়ার কথা।' এর পাশাপাশি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বিনোদ ঘোষ জানাচ্ছেন যে, মুসলিম সম্প্রদায়কে কখনোই উঠতে দেওয়া যাবে না। যদিও এই ফোন রেকর্ডিং আমরা যাচাই করিনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদি এই স্বজল ধারা প্রকল্পটি চালু হয় তাহলে এলাকার মানুষ পানীয় জলের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। তাঁরা উপকৃত পাবে। এই ঘটনার পর দেবপ্রসাদ বিশ্বাস হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এর পাশাপাশি প্রশাসনিক দফতরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিনোদ ঘোষ ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিনোদ ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে তা তাকে ফাঁসানোর জন্যই বানানো হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।